ব্রাজিলের টানা দশ জয়, হোঁচট খেল জার্মানি

পোর্তো আলেগরির মাঠে ম্যাচের ৩৩ মিনিটে একমাত্র গোলটি করেন হফেনহেইমের এ স্ট্রাইকার। চেলসির ডিফেন্ডার ফেলিপে লুইসের পাস থেকে তিনি গোলটি করেন। অভিজ্ঞ স্ট্রাইকার রবিনহো এদিন খেলেন। এছাড়া বার্সেলোনার ইউয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লীগের শিরোপাজয়ী স্ট্রাইকার নেইমার হন্ডুরাসের জালে একবার বল জড়ান।
কিন্তু অফসাইডের খাঁড়ায় পড়ে সেটা বাতিল হয়ে যায়। বিশ্বকাপের পর তখনকার কোচ লুইস ফেলিপে স্কলারিকে হটিয়ে ব্রাজিলের কোচ করা হয় কার্লোস দুঙ্গাকে। তার অধীনে ব্রাজিল টানা ১০ ম্যাচ জিতলো। তবে হন্ডুরাসের মতো দুর্বল দলকে বড় ব্যবধানে হারাতে না পারায় এদিন স্বাগতিক দর্শকরা ব্রাজিলের খেলোয়াড়দের দুয়ো দেয়। কোপা আমেরিকায় ব্রাজিল প্রথম ম্যাচ খেলবে ১৪ই জুন পেরুর বিপক্ষে।
এই ম্যাচে দলের পারফর্মেন্সে সন্তুষ্ট হতে পারেননি ব্রাজিল কোচ দুঙ্গা। সাইড লাইনে দাঁড়িয়ে বার বার উত্তেজিত হতে দেখা যায় তাকে। ম্যাচে ৬৫ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের পায়ে রেখে প্রতিপক্ষের গোলপোস্টে ১৫ শট নিয়েও একটির বেশি গোল করতে পারেনি ব্রাজিল। যদিও দুঙ্গা দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব নেয়ার পর টানা দশ ম্যাচ জিতে নিজের সাফল্যের রেকর্ডকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। ব্রাজিলের পারফর্মেন্স ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছেন ফিরমিনহো। জাতীয় দলে অভিষেকের পর থেকেই নিজের পারফর্মেন্স দিয়েই দৃষ্টি কেড়েছেন হোফেনহিয়েম তারকা। ব্রাজিলের জার্সি গায়ে ছয় আন্তর্জাতিক ম্যাচে তার গোলসংখ্যা তিন। ব্রাজিলের কোপা আমেরিকা অভিযান শুরু হবে বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোরে পেরুর বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে।
কোলনে অনুষ্ঠিত আরেক ম্যাচে মূলত ক্লিন্সম্যানের কাছেই হার মেনেছে জার্মানি। ম্যাচের ১২ মিনিটে মারিও গোয়েটজের গোলে এগিয়ে গেলেও শেষ পর্যন্ত হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের। ৪১ মিনিটে ডিসকারউডের গোলে ম্যাচে সমতা ফেরায় যুক্তরাষ্ট্র। ৮৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রকে জয় উপহার দেয়া গোলটি করেন জার্মানির তৃতীয় বিভাগের দল এরজেব্রিজের খেলোয়াড় ববি উড। গত শুক্রবার আমস্টারডামে হল্যান্ডকে ৪-৩ গোলে হারানোর পর বিশ্বচ্যাম্পিয়ন জার্মানিকেও হারিয়ে রীতিমতো আকাশে উড়ছে যুক্তরাষ্ট্র।
নিজ দেশের বিরুদ্ধে কোচ হিসেবে দ্বিতীয় জয় তুলে নিয়েছেন ক্লিন্সম্যান। ১৯৯০ সালের বিশ্বকাপজয়ী জার্মান দলের অন্যতম এই তারকা ২০০৬ সালের বিশ্বকাপে ছিলেন জার্মানির কোচ। ম্যাচ শেষে ক্লিন্সম্যান তাই নিজের পেশাগত উচ্ছ্বাসটা চেপে রাখতে পারেননি। বলেন, আমার দল যেভাবে খেলেছে, তাতে জয় ওদের প্রাপ্য ছিল। দ্বিতীয়ার্ধে দল জার্মানদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে খেলেছে। জিততে না পারলে খারাপ লাগত। ক্লিন্সম্যান আরও বলেন, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ফুটবল সাফল্য পাচ্ছে। এসব সাফল্য মার্কিন ফুটবলকে মনোযোগের কেন্দ্রে নিয়ে আসবে। এটা জয়টা বিশেষ কিছু, খেলোয়াড়রা সত্যি খুশি। ভারসাম্যময় একটি ম্যাচে দুই দল সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু জয় আমাদের প্রাপ্য ছিল।