রাজনকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার চৌকিদার ময়না মিয়ার ফাঁসি চান তার মা
সিলেট, ১৫জুলাই(ডেইলি টাইমস ২৪): সিলেট সদর উপজেলার কুমারগাঁয়ে চুরির অপবাদ দিয়ে নির্মম নির্যাতনের মাধ্যমে ১৩ বছরের শিশু সামিউল আলম রাজনকে হত্যার দায়ে গ্রেফতার চৌকিদার ময়না মিয়ার মা তার ফাঁসি চান।
মঙ্গলবার রাতে চৌকিদার ময়নাকে নানা কৌশলে গ্রামে ফিরেয়ে এনে উপজেলা চেয়ারম্যান আশফাক আহমদের মাধ্যমে তাকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়। তবে ময়নাকে ধরিয়ে দিতে সহায়তা করেছেন ময়নার মা। তিনি ময়নাকে আত্মসমর্পণ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করে গ্রামে ফিরেয়ে নিয়ে এসেছেন। পরে গ্রামবাসীর কাছে তুলে দিয়েছেন। ময়নার মায়ের বক্তব্য : ময়নার অপরাধের জন্য কী ধরনের শাস্তি চান জানতে চাইলে তিনি সংবাদিকদের বলেন “আমার পোয়া (ছেলে) যদি দুষি হয়ে থাকে আপনারা ফাঁসি দিলাউক্কা। আমার কোনো দুঃখ নাই।” এসময় তিনি আরো বলেন “ওউ মায়ের বুক খালি হইছে, ছোট ছেলে আমার এতে দুঃখ লাগছে।” “আমার বাচ্চাও আমি কুরবানি দিলাম।” আপনি কী লজ্জিত কী এই ঘটনার জন্য জানতে চাইলে তিনি বলেন, “আমি দুঃখিত-রে বাবা, আমার বাচ্চা কেনে ইতা করলো। তুই ছকিদার ছিলি, তুই কেনে ইতা মানুষের লগে সহযোগতা করোস। পরে যখন ময়নার মায়ের কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি এমন একটা ছেলের জন্ম দিয়ে গর্বিত না লজ্জিত? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “গর্বিত। আমি গর্বিত যে, আমি আমার বাচ্চা সমজিয়া দিতে পারছি।”
পরে আবার যুক্ত করেন “জন্ম দিয়া ঢেকছিরে বাবা, কষ্ট করি বড় করছি। দুঃখ যদি মার বুঝতো, তাইলে গরিব গরিবানার মতো থাকত।” উল্লেখ্য গত ৮ জুলাই বুধবার সকালে চোর সন্দেহে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয় ১৩ বছরের রাজনকে। নির্যাতনকারীরাই শিশুটিকে পেটানোর ভিডিও ধারণ করে এবং ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়। ২৮ মিনিটের ওই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ ঘটনায় জালালাবাদ থানা পুলিশ একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে, যাতে মুহিত, তার ভাই কামরুল ইসলাম (২৪), তাদের সহযোগী আলী হায়দার ওরফে আলী (৩৪) ও চৌকিদার ময়না মিয়া ওরফে বড় ময়নাকে (৪৫) আসামি করা হয়েছে।
-আ/বি , ডেইলি টাইমস ২৪