
ডালাসের বন্দুকধারী নিহত হন ‘রোবট বোমায়’
ঢাকা, ০৯ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে খুনের পর বন্দুকধারীকে হত্যায় রোবট বোমা ব্যবহার করেছিল পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সামরিক এই কৌশল ব্যবহার নিয়ে প্রশ্নও উঠেছে।
টেক্সাসের ডালাসে গত বৃহস্পতিবার রাতে কৃষ্ণাঙ্গদের বিক্ষোভের একপর্যায়ে উঁচু ভবন থেকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয় পাঁচ শ্বেতাঙ্গ পুলিশকে। এরপর বন্দুকধারীও নিহত হন। নিহত কৃষ্ণাঙ্গ মিকাহ জেভিয়ার জনসন যুক্তরাষ্ট্র সেনাবিহিনীতে ছিলেন একসময়। আফগানিস্তানে যুক্তরাষ্ট্র বাহিনীর হয়ে লড়েছিলেন তিনি। পুলিশের গুলিতে দুই কৃষ্ণাঙ্গ নিহতের প্রতিবাদের সময় তিনি ওই ঘটনা ঘটান।
হামলার পর জনসনকে নিষ্ক্রিয় করতে রোবট বোমা ব্যবহার করা হয় জানিয়ে রয়টার্স বলেছে, সামরিক বাহিনী আগে ব্যবহার করলেও পুলিশের এই কৌশল ব্যবহার এটাই প্রথম।
‘এটা পুলিশ প্রথম ব্যবহার করল,’ বলেছেন যুদ্ধক্ষেত্রে রোবট ব্যবহারে কলাকৌশল নিয়ে আলোচিত বই উইয়ার্ড ফর ওয়ার এর লেখক পিটার সিঙ্গার।
তিনি বলেন, ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনীর এই কৌশল ব্যবহারের কথা তিনি জানেন।
সামরিক ক্ষেত্রে প্রয়োগের এই কৌশল যুদ্ধক্ষেত্র নয়- এমন স্থানে প্রয়োগের বিষয়ে ডালাসের পুলিশ প্রধান ডেভিড ব্রাউন বলছেন, তাদের কাছে এর বিকল্প ছিল না। জনসন যেখানে ছিলেন, সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একটি রোবট বোমা পাঠিয়ে দেয়, রোবটটি যথাস্থানে পৌঁছার পর দূর নিয়ন্ত্রকে মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়, যাতে জনসন মারা যান।
‘ঠিক ওই সময়ে আমরা কোনো উপায়ই পাচ্ছিলাম না, অন্য কোনো পন্থা অবলম্বন করতে গেলে বাহিনীর অনেক সদস্যকে প্রাণহানির ঝুঁকিতে ঠেলে দেওয়া হতো,’ আত্মপক্ষ সমর্থনে যুক্তি দেখান পুলিশ প্রধান ব্রাউন।
ডালাসের মেয়র মাইক রলিংস বলছেন, বন্দুকধারী জনসনকে আত্মসমর্পণের আহ্বান জানানো হয়েছিল, কিন্তু তিনি তা গ্রহণ না করে নিজের অবস্থানে থাকার সিদ্ধান্তই নিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে শ্বেতাঙ্গ পুলিশের গুলিতে কৃষ্ণাঙ্গ এক ব্যক্তি নিহত হওয়ার পর ডালাসে বিক্ষোভের মধ্যে পাঁচ পুলিশ সদস্যকে স্নাইপার রাইফেলের গুলিতে হত্যা করা হয়েছে।