
গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু
ঢাকা, ১১ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪): গ্যাসের দাম বৃদ্ধির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোর প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে চলতি মাসের শেষের দিকে গণশুনানি হবে। এ গণশুনানির পর দাম বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত দেবে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)।
জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, দেশে গ্যাসের সংকট তৈরি হওয়ায় তুলনামূলক কম উৎপাদনশীল খাতে গ্যাসের ব্যবহার কমিয়ে আনতে চায় সরকার। ফলে আবাসিক খাত ও সিএনজি খাতে গ্যাস ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। সরকারের নীতিনির্ধারণী মহলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্রমান্বয়ে জ্বালানি তেলের দাম আরও কমিয়ে আনা হবে। এতে গাড়িতে সিএনজির ব্যবহার কমে আসবে। একই সঙ্গে পাইপলাইনে গ্যাসের দাম বাড়িয়ে লিকুইড পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) সমান করা হবে। ফলে আবাসিকে পাইপলাইনে গ্যাস ব্যবহারে নিরুৎসাহিত হবেন গ্রাহকরা।
বিইআরসি সূত্রে জানা যায়, সর্বশেষ বিতরণ কোম্পানিগুলো নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী আবাসিক খাতে ব্যবহার্য দুই বার্নার এক চুলার ক্ষেত্রে মাসিক বিল এক হাজার দুইশ টাকা এবং এক বার্নারের চুলার জন্য এক হাজার টাকা করার প্রস্তাব করেছেন। এ ছাড়া সিএনজি গ্যাসে দাম প্রতি ঘনমিটার ৩৫ থেকে বাড়িয়ে ৫৮ টাকা করার কথা বলা হয়। সূত্রে জানা যায়, শুধু আবাসিক বা সিএনজি খাতেই নয়, সব শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাসের দাম বাড়ানোর প্রস্তাব করেছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। বাসাবাড়ি ও সিএনজি ছাড়া অন্য ক্ষেত্রে গ্যাসের দাম ১০ থেকে ৪০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানোর আবেদন করেছে গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলো।
জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে গত ছয় মাসের মধ্যে বিতরণ কোম্পানিগুলো পর্যায়ক্রমে বিইআরসির কাছে সব শ্রেণির গ্রাহক পর্যায়ে দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে। এসব প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে বিইআরসির প্রস্তাব যাচাই-বাছাই করেছে। এখন প্রস্তাবগুলো নিয়ে গণশুনানির আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বিইআরসির এক কর্মকর্তা গতকাল রোববার আমাদের সময়কে বলেন, দুয়েক দিনের মধ্যেই গণশুনানির তারিখ নির্ধারণ করা হবে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে গণশুনানি শুরু হবে বলে তিনি জানান।
প্রসঙ্গত, গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর থেকে আবাসিকসহ কয়েকটি শ্রেণির গ্রাহকের গ্যাসের দাম বাড়ানো হয়। তখন দুই চুলার গ্যাসের ক্ষেত্রে ৪৫০ থেকে বাড়িয়ে ৬৫০ টাকা এবং এক চুলার বিল ৪০০ থেকে বাড়িয়ে ৬০০ টাকা করা হয়।