
টিআইবির রিপোর্ট মিথ্যা ও ভিত্তিহীন: পাসপোর্ট অধিদফতরের ডিজি
ঢাকা, ১৪ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
পাসপোর্ট অফিসে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি ও দুর্নীতি নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে আখ্যা দিয়েছেন বহিগর্মন ও পাসপোর্ট অধিদফতরের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান।
অধিদফতরের সম্মেলন কক্ষে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলেন তিনি বলেন, ১ কোটি ৪৫ লাখ পাসপোর্ট গ্রহণকারীদের মধ্যে মাত্র ৪৮০ জনের সাক্ষাৎকার নিয়ে এ ধরণের একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা একেবারেই ভিত্তিহীন। গবেষণা প্রতিবেদনের জন্য অন্তত শতকরা ১ ভাগ পাসপোর্ট গ্রহণকারীদের বক্তব্য নেয়া প্রয়োজন ছিল।
তিনি বলেন, পাসপোর্ট অফিসের বাইরে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও ফরম পূরণ করতে আইন-শৃংখলা বাহিনী এবং দালালদের টাকা প্রদানের বিষয়টি তাদের আওতাভুক্ত নয়।
লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, দেশের ৬৭ টি পাসপোর্ট অফিসের একটিও টিআইবি পরিদর্শন করেনি। তাদের প্রতিবেদনে যে দালালদের দৌরাত্মের কথা বলা হয়েছে, সেটি অফিসের বাইরের বিষয়। এরপরও বিভিন্ন সময়ে ২৫৭ জন দালালকে গ্রেফতার করে তাদেরকে ৬ মাসের জেল দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। তারা জেল থেকে বেরিয়ে আবারও সেই দালালি কাজে জড়িয়ে পড়ে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পাসপোর্ট অফিস একেবারে দুর্নীতিমুক্ত নয়। বিভিন্ন সময়ে শুদ্ধি অভিযান চলাকালে দুর্নীতির অভিযোগে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বরখাস্ত করা হয়েছে। অনেককে সতর্কও করা হয়েছে।
পুলিশ ভেরিফিকেশনের জন্য প্রত্যেক অবেদনকারীদের কাছ থেকে ১ হাজার টাকা নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি স্পেশাল ব্রাঞ্চের কাজ।
পাসপোর্ট মহাপরিচালক বলেন, এসবি ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট না দিলে আবেদনকারীর সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনুমতি নিয়ে তাকে পাসপোর্ট দেয়া হয়।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাসুদ রেজওয়ান আরো বলেন, স্মার্ট কার্ড চালু হলে পাসপোর্ট গ্রহণের ক্ষেত্রে অনেক সমস্যা লাঘব হবে। তখন আর পুলিশ ভেরিফিকেশনের প্রয়োজন হবে না।
ডিজি বলেন, অনলাইন ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে একজন আবেদনকারী তার ফি জমা দিতে পারলে আরেকটি সমস্যা লাঘব হবে। ঢাকায় গাবতলী ও বাসাবোতে আরও দুইটি পাসপোর্ট অফিস চালুর প্রস্তাব বিবেচনাধীন রয়েছে।