জাতীয়

কারাগার থেকে শতবর্ষী অহিদুন্নেসার মুক্তির উদ্যোগ

ঢাকা, ১৫ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):

প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার (এস কে সিনহা) মানবিক বিবেচনায় মুক্তি পেতে যাচ্ছেন চাঁদপুরের শতবর্ষী বৃদ্ধা অহিদুন্নেচ্ছা। গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি এ বৃদ্ধাকে আইনি সহায়তা দিতে প্রায় সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছে জাতীয় আইনি সহায়তা প্রদানকারী সংস্থা ঢাকা লিগ্যাল এইড। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার সাব্বির ফয়েজ বলেন, ”মাননীয় চিফ জাস্টিস স্যারের অনুকম্পায় ইতিমধ্যে অহিদুন্নেসার পাশে দাঁড়িয়েছে লিগ্যাল এইড।” অহিদুন্নেসাকে আইনি সহায়তার প্রস্তুতি শেষের দিকে বলেও জানান তিনি। সাব্বির ফয়েজ বলেন, ”আপিল বিভাগে আবেদন করলে আদালত কোনো আসামির বিষয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারেন। সে ক্ষেত্রে আদালত মনে করলে অহিদুন্নেসার বিষয়েও বিবেচনা করতে পারেন। এটি আদালতের মর্জি। লিগ্যাল এইডের সহযোগিতায় শিগগিরি আলোর মুখ দেখার স্বপ্ন দেখছেন চাঁদপুরের অহিদুন্নেসা।” সাব্বির ফয়েজ আরো বলেন, ”গত ২৯ জুন চিফ জাস্টিস স্যার কাশিমপুর কারাগারে পরিদর্শনে গিয়ে কথা বলেছেন অহিদুন্নেচ্ছার সঙ্গে। আশ্বাস দিয়েছেন আইনি সহায়তা দেওয়ার। জেল আপিল করতে বলেছেন। সে মোতাবেক আমরা লিগ্যাল এইডের পক্ষ থেকে অহিদুন্নেসাকে আইনি সহায়তা দিতে কাজ করছি। আশা করছি, অল্প সময়ের মধ্যে আপিল বিভাগে অহিদুন্নেসার পক্ষ থেকে একটি আবেদন করা হবে। সে আবেদনের শুনানি শেষে অহিদুন্নেসা তার সাজা থেকে খালাস পেতে পারেন। এটি আদালতের বিবেচনার বিষয়।” কাশিমপুরে গিয়ে সেদিন প্রধান বিচারপতি বলেছিলেন, ”শতবর্ষী একজন মানুষ সমাজের কোনো ক্ষতি করতে পারে না। এ জন্য তার মুক্তির উদ্যোগ নিতে জেল আপিল করতে হবে।” জানা গেছে, ১৯৯৭ সালে দায়ের হওয়া একটি হত্যা মামলায় চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ একই পরিবারের ১৬ আসামির মধ্যে ১২ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও অহিদুন্নেসাসহ চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। এর বিরুদ্ধে আপিল করলে, তা খারিজ করেন হাইকোর্ট। পরে নির্ধারিত সময়ের ৪৭০ দিন পর হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করলে, তাও খারিজ হয়ে যায়। ফলে কারাগারই হয় অহিদুন্নেসার শেষ ঠিকানা।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button