
হিমালয় অঞ্চলীয় দেশসমূহের সমন্বিত উদ্যোগ প্রয়োজন
ঢাকা, ১৬ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেছেন, হিমালয় অঞ্চলীয় দেশসমূহের মাঝে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ত্বরান্বিত করবে পর্যটন শিল্প। তবে এজন্য প্রয়োজন সংশ্লিষ্ট দেশ সমূহের সমন্বিত উদ্যোগ।
মেনন আরোর বলেন, হিমালয়ের অববাহিকায় উৎপন্ন নদীসমূহ ঘিরে এ পদক্ষেপের সূচনা হতে পারে। কারণ এসব নদী এ অঞ্চলের মানুষের জীবন, ইতিহাস, ঐতিহ্যও সংস্কৃতিকে একসূত্রে গেঁথে রেখেছে। নদী বিধৌত এ সভ্যতাকে পর্যটন সম্ভাবনায় রূপ দিতে হবে।
শুক্রবার ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের কনভেনশন সেন্টারে দু’দিনব্যাপী ‘এশিয়ান কনফ্লুয়েন্স রিভার ফেস্টিভেল’-এর উদ্বোধনী অধিবেশনে কী-নোট পেপার উপস্থাপনকালে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চল এবং এর সীমান্তবর্তী বাংলাদেশ, ভুটান, নেপাল এবং মিয়ানমারের মাঝে আঞ্চলিক সহযোগিতা ও উন্নয়নের ক্ষেত্র সম্প্রসারিত করতে নদী, রেল, সড়ক, বিমান ও পিপল টু পিপল কানেকশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ যোগাযোগের ভিত্তি হতে পারে কালচারাল, এডুকেশনাল, হেলথ ও রিলিজিয়ন ট্যুরিজম।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আরো বক্তৃতা করেন মেঘালয়ের মূখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা, মিজোরামের মূখ্যমন্ত্রী শ্রী লালথানওয়ালা, বাংলাদেশের পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা, ভারতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলী প্রমুখ।
দু’দিনব্যপী এ সম্মেলনে ভারত, বাংলাদেশ, নেপাল, ভুটান ও মায়ানমারের তিনশ’ প্রতিনিধি অংশ নিচ্ছে।
ভারতের বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে এ আয়োজনের সহ উদ্যোক্তা আরডিসি ও ফ্রেন্ডস অব বাংলাদেশ।
সম্মেলনের উদ্দেশ্য সম্পর্কে আরডিসি’র চেয়ারপারসন প্রফেসর মেজবাহ কামাল বলেন, দু’জন মানুষের সীমানা ভিন্ন হতে পারে, কিন্তু তারা যখন একই নদী শেয়ার করে তখন সীমানার বাধা বিলীন হয়ে যায়। তাই নদী ছোঁয়া মানে মানব সভ্যতাকে স্পর্শ করা। সভ্যতার অগ্রগতিকে নিরবধি করতে নদীকে লালন করতে হবে।