
আর্থিক সহায়তা চেয়েছেন কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী লাকী আখন্দ
ঢাকা, ১৬ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
আর এটাই মনে হয় লাকী আখন্দের জীবনের অমোঘ পরিণতি! যে মানুষটা সব সময়ই নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকতেন, তাকেও কি না এখন সে জায়গা থেকে সড়ে আসতে হল। জীবনযুদ্ধে কিছুটা হলেও পিছু হটতে হয়েছে। গুণী এ শিল্পীর চিকিৎসার্থে আর্থিক সংকট চরমে উঠেছে বলে জানা গেছে। চিকিৎসার প্রাথমিক পর্যায়ে আর্থিক সহায়তা নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ছিলেন তিনি।
বর্তমান পরিস্থিতিতে লাকী আখন্দ নিজেই তার ভক্ত ও সরকারের কাছে আর্থিক সহায়তা দাবি করেছেন। গতকাল বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেলে
দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ দাবি জানান লাকী আখন্দ। তিনি বলেন, ‘সরকারের সহযোগিতা পেলে ভালো হয়। আমি আমার ভক্ত ও সরকারের কাছে চিকিৎসা সহায়তা চাইছি।’
সম্প্রতি ফুসফুসের ক্যানসার আক্রান্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। আর ব্যংকক থেকে ফেরার পর আবারও অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর তাকে রাজধানীর শাহবাগের ইব্রাহিম মেমোরিয়াল কার্ডিয়াক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এরপর তাকে রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
এদিকে গত কয়েকদিন আগে গুণী এই শিল্পীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কেমোথেরাপির ফলে মেরুদণ্ডের ব্যথায় ভুগছিলেন তিনি। ছয় মাসের চিকিৎসা শেষে থাইল্যান্ডের ব্যাংকক থেকে ২৫ মার্চ দেশে ফেরেন লাকী। এরপর বাসায়ই সময় কাটছিলো তার। কেমোথেরাপি নেওয়ার পর শারীরিক অবস্থার বেশ উন্নতিও হয়েছিলো।
এ বছরের জুনে লাকী আখন্দের ফের ব্যাংকক যাওয়ার কথা ছিল। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ক্যানসারে আক্রান্ত লাকীকে সেখানকার হাসপাতালে গিয়ে আরও পাঁচটি কেমো নেওয়ার কথা ছিল। এছাড়া গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়ায় লাকী আখন্দকে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর সপ্তাহখানেক পর তার ফুসফুসে ক্যানসার ধরা পড়ে। তখনই ব্যাংককের পায়থাই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। প্রথম দফায় শরীরে অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়। এরপর অক্টোবরের প্রথম দিকে ঢাকায় নিজ বাসায় ফেরেন লাকী। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় নভেম্বরে তাকে ফের ব্যাংককে নেওয়া হয়। এ অবস্থায় তার চিকিৎসায় এগিয়ে আসে সরকার।
এদিকে লাকী আখন্দ সুস্থ হয়ে দীর্ঘ আটমাস পর কী-বোর্ডের ধুলা সরিয়ে কয়েকটি রবীন্দ্রসংগীত নতুন করে সংগীতায়োজন করছিলেন। ‘আনন্দলোকে মঙ্গলালোকে’ গানটির সংগীতায়োজন শেষ করেছেন কিছুদিন আগে। এরপর ‘তুমি কোন কাননের ফুল কোন গগনের তারা’র সংগীতায়োজন। ড. আনিসুজ্জামানের ওপর নির্মিত একটি ডকুমেন্টারির জন্যই গানগুলো নতুন করেছিলেন। এসব গানে লাকি আখন্দ নিজে কণ্ঠ দিয়েছেন। এছাড়া ‘প্রমোদে ঢালিয়া দিনু মন’ -গানটিরও কাজ করছিলেন।
লাকী আখন্দ অসংখ্য কালজয়ী গান সুর করেছেন, গেয়েছেনও। এর মধ্যে— ‘আমায় ডেকো না, ‘এই নীল মনিহার, ‘কবিতা পড়ার প্রহর এসেছে’, ‘যেখানে সীমান্ত তোমার, ‘মামনিয়া, ‘লিখতে পারি না কোনো গান, ‘ভালোবেসে চলে যেও না’, ‘বিতৃঞ্চা জীবনে আমার’, ‘কি করে বললে তুমি’, ‘এতো দূরে যে চলে গেছো’ প্রভৃতি।
লাকী আখন্দের পাশে দাঁড়াতে হলে:
লাকী আখন্দ
ব্যাংকক ব্যাংক, থাইল্যান্ড
একাউন্ট নাম্বার: ১১৩.৪.৯১৮৬৮.৭
উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড
একাউন্ট নাম্বার: এস বি ১৪৭৬
ডাচ বাংলা ব্যাংক
একাউন্ট নাম্বার: ১৬২.১০১.১৩৭৩৫৯
– See more at: http://www.priyo.com/2016/Jul/16/226847#sthash.5NQbeLvx.dpuf