জেলার সংবাদ

তিস্তার পানিতে বন্দী ১০ হাজার মানুষ

ঢাকা, ১৭ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):

ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যা দেখা দিয়েছে। রোববার সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তার পানি বিপদসীমার (৫২ দশমিক ৪০ মিটার) ১৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

প্রবল বন্যার কারণে টেপাখড়িবাড়ী ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ীসহ আশপাশের ১০টি গ্রাম হাটু থেকে কোমর পানিতে তলিয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ১০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।

ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস সর্তকীকরণকেন্দ্র সূত্র মতে, ভারী বর্ষণ ও উজানের ঢলে বোরবার সকাল ৬টা থেকে ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৭ সেন্টিমিটার (৫২ দশমিক ৫৭) উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় এ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এই পয়েন্টে বিপদসীমা ধরা হয় ৫২ দশমিক ৪০ সেন্টিমিটারকে। এছাড়া ভারী বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দেশের সর্ববৃহৎ তিস্তা ব্যারাজের সবকটি (৪৪টি) জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)।

এদিকে, তিস্তার বন্যায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার পূর্বছাতনাই, খগাখড়িবাড়ি, টেপাখড়িবাড়ি, খালিশা চাঁপানী, ঝুনাগাছ চাঁপানী, গয়াবাড়ি, জলঢাকা উপজেলার গোলমুন্ড, ডাউয়াবাড়ি, শৌলমারী ও কৈমারী, লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জ, রংপুরের গঙ্গচড়া উপজেলার তিস্তাবেষ্টিত চর ও চর এলাকার ২৫টি গ্রাম ও গ্রামের ১০ হাজার মানুষ বন্যা কবলিত হয়ে পড়েছে বলে জনপ্রতিনিধিরা জানিয়েছে।

ঝুনাগাছ চাপানি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আমিনুর রহমান বলেন, ছাতুনামা ও ফরেস্টের চরের ৭০০ পরিবারের বসতভিটায় বন্যায় পানি প্রবেশ করেছে। এসব পরিবারের অধিকাংশ বাড়ি হাটু পানিতে তলিয়ে গেছে।

এদিকে, উজানের ঢলে ফুঁসে ওঠা তিস্তা নদীর গতিপথ পরিবর্তনে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ও লালমনিরহাট জেলার সানিয়াজান এলাকার ২০ হাজার মানুষ চরম বিপাকে পড়েছে।

শনিবার নীলফামারীর জেলা প্রশাসক জাকির হোসেন, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রেজাউল করিম, সহকারী কমিশনার ভূমি মিল্টন চন্দ্র রায়, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নায়েমা তাবাচ্ছুম শাহ, টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম শাহিন তিস্তার বন্যা ও ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button