গেস্ট হাউস ও রেস্টুরেন্ট ব্যবসায় মন্দা
ঢাকা, ১৭ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ক্রমশই জনপ্রিয়তা বাড়ছিল গুলশান, বারিধারা ও বনানী এলাকার বুটিক হোটেল, গেস্ট হাউসগুলোর। ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পর সব ওলটপালট হয়ে গেছে। বিদেশী পর্যটকরা আগাম বুকিং বাতিল করেছেন। মন্দা ভাব দেখা দিয়েছে সেখানের হোটেল রেস্টুরেন্টসহ পাঁচ তারকা হোটেলগুলোতে। তবে এই পরিস্থিতি সামাল দিয়ে বিদেশী পর্যটক, পরামর্শকদের আস্থা ফেরাতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারসহ হোটেল ভাড়া ও খাবার মূল্যে বিশেষ ছাড় দেয়া হয়েছে। কূটনৈতিক জোনের কয়েকটি গেস্ট হাউস মালিকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, চাহিদা থাকায় শুধু গুলশান, বারিধারা ও বনানী এলাকায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রায় ৭০টি গেস্ট হাউস গড়ে উঠেছে। এর সঙ্গে সরাসরি কর্ম সংস্থানে জড়িত প্রায় ১০ হাজার মানুষ। আর পরোক্ষভাবে জড়িত লন্ড্রি, রেন্ট-এ-কারসহ কয়েকটি খাতের কয়েক হাজার মানুষ। এসব হোটেল-গেস্ট হাউসগুলোর প্রতিদিনের ভাড়া ৫০ থেকে ১০০ ডলার। সঙ্গে সকালের নাস্তা ফ্রি দেয়া হয়। এ একটি খাতই দেশে ব্যবসা করে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে।
গেস্ট হাউস মালিকদের মতে, বিভিন্ন দেশের বিদেশীরা বুটিক হোটেল, গেস্ট হাউসগুলোতে নিয়মিত অবস্থান করেন। এর বেশির ভাগই সরকারি বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করেন। পাঁচ তারকা হোটেলে অবস্থান ব্যয়বহুল হওয়ায় তারা স্বল্প খরচের গেস্ট হাউসগুলোকে বেছে নিচ্ছেন। পরামর্শক, স্টাফরা বড় হোটেলে দীর্ঘদিন অবস্থান করলে বিপুল অংকের অর্থ গুণতে হয়। ফলে উন্নয়ন প্রকল্প ব্যয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে। সে হিসেবে, গেস্ট হাউসগুলো উন্নয়ন সহযোগীদের সহযোগী।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে হোটেল অ্যান্ড গেস্ট হাউস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাইফ আহমেদ বলেন, গুলশানে হামলার পর সাময়িকভাবে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা দিলেও তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব। ঘটনার পরও বিভিন্ন আন্তর্জাতিক হোটেল বুকিং সাইট থেকে বুকিং আসছে- তবে আগের তুলনায় কম। এ ঘটনার পুনরাবৃত্তি ঘটলে চরম মাশুল দিতে হবে সবাইকে।
বেঙ্গল ইনের নির্বাহী পরিচালক আবদুল আজিজ বলেন, সাধারণত সেপ্টেম্বর-মার্চ পর্যন্ত বিদেশী পর্যটকরা বেশি আসেন। গেস্ট হাউসগুলোতে বুকিং দেন। কিন্তু হামলার ঘটনার পর আগাম বুকিং সব বাতিল হয়ে গেছে। এমনকি অবস্থানরত বিদেশীরাও পরের দিন হোটেল ছেড়ে চলে গেছেন। বিদেশী গেস্টরা ভবিষ্যতে এ ধরনের হামলা মোকাবেলা করতে আইনশৃংখলা বাহিনীর সক্ষমতা বাড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছেন।