
জামালপুরের ৩ রাজাকারের ফাঁসি, ৫ জনের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ঢাকা, ১৮ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামালপুরের তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনকে আমৃত্যু কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
সোমবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি আনোয়ারুল হকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন। এর আগে সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে ২৮৯ পৃষ্ঠার রায়ের সংক্ষিপ্ত অংশ পড়া শুরু করেন আদালত। বেঞ্চের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি শাহিনুর ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ারদী।
ফাঁসির আদেশপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- জামালপুরের আলবদর বাহিনীর প্রতিষ্ঠাতা মুহাম্মদ আশরাফ হোসাইন, মোহাম্মদ আবদুল মান্নান ও মোহাম্মদ আবদুল বারী।
আমৃত্যু কারাদণ্ডপ্রাপ্তরা হচ্ছেন- জামালপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমির অ্যাডভোকেট শামসুল আলম ওরফে বদর ভাই ও সাবেক জামায়াত নেতা এস এম ইউসুফ আলী, অধ্যাপক শরীফ আহমেদ ওরফে শরীফ হোসেন, মো. হারুন ও মোহাম্মদ আবুল হাসেম।
এদের মধ্যে অ্যাডভোকেট শামসুল হক এবং এস এম ইউসুফ আলী আটক রয়েছেন, বাকিরা পলাতক।
এর আগে রোববার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন। গত ১৯ জুন উভয়পক্ষের শুনানি শেষে মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষামাণ রাখা হয়।
ওইদিন আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ। আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী গাজী তামিম।
গত বছরের ২৬ অক্টোবর এই আট জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল।
তাদের বিরুদ্ধে হত্যা, গণহত্যা, আটক, অপহরণ, নির্যাতন, লুটপাট ও মরদেহ গুমের পাঁচটি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়। এসব অভিযোগের মধ্যে তিনটিই প্রমাণিত হওয়ায় এসব সাজা দেন ট্রাইব্যুনাল।
আসামিদের মধ্যে গ্রেফতার হওয়া দুজন মুক্তিযুদ্ধে রাজাকার বাহিনীর সদস্য ছিলেন। পলাতক বাকি ছয়জন ছিলেন আলবদর বাহিনীর।
২০১৫ সালের ২৪ মার্চ রাজধানীর ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে আট রাজাকারের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়। একই বছর ২৯ এপ্রিল আসামিদের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। ২২ জুলাই পলাতক জামালপুরের ছয় রাজাকারকে হাজির হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।