
অনুমোদনহীন স্থাপনা উচ্ছেদের কাজ জোরদার হচ্ছে : গণপূর্তমন্ত্রী
ঢাকা, ১৮ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আবাসিক এলাকায় গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম জোরদার করা হবে।
রোববার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আবাসিক এলাকায় অনুমোদনহীন স্থাপনা উচ্ছেদ সংক্রান্ত সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
এসময় গৃহায়ণ ও গণপূর্ত সচিব মো. শহীদ উল্লা খন্দকার, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. খন্দকার আখতারুজ্জামান, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) চেয়ারম্যান এম বজলুল করিম চৌধুরী, গণপূর্ত অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী মো. হাফিজুর রহমান মুন্সী, মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এস এম আরিফ-উর-রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুমোদনহীন স্থাপনা উচ্ছেদ কার্যক্রম দীর্ঘদিন যাবৎ চলমান রয়েছে জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী আরও বলেন, এসব স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার সুযোগ করে দিতে কিছুটা সময় দেয়া হয়েছিল। কিন্তু অধিকাংশ প্লট মালিক সে সুযোগ কাজে লাগাননি। বিভিন্ন এলাকায় ১ হাজার ৬২৫টি অবৈধ স্থাপনার কটি তালিকা করা হয়েছে। তালিকা প্রণয়নের কাজ চলছে এবং এ সংখ্যা আরো বাড়বে। এ সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে আবাসিক এলাকার প্রকৃত রূপ ফিরিয়ে আনা হবে।
মন্ত্রী বলেন, ১ হাজার ৬২৫টি অবৈধ স্থাপনার মধ্যে উত্তরায় ২১৫টি, মিরপুরে ৫৮০টি, গুলশান-বারিধারায় ৫৫২টি, ধানমন্ডি-লালবাগ এলাকায় ১৭৩টি এবং মতিঝিল-খিলগাঁও এলাকায় ১০৫টি স্থাপনা রয়েছে। এসব স্থাপনার মালিক রাজউকের লিজ শর্ত ভঙ্গ করে আবাসিক এলাকায় বাণিজ্যিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ফলে আবাসিক এলাকার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।
তিনি বলেন, আবাসিক এলাকার কোনো কোনো সড়ক বা এভিনিউকে বাণিজ্যিক হিসেবে পরিবর্তন করা হয়েছে। এসব এলাকায় অনেক বাণিজ্যিক ভবনের স্পেস ফাঁকা পড়ে রয়েছে।
সভায় জানানো হয়, বিভিন্ন এলাকায় এ পর্যন্ত ৩৩৩টি র্যাম্প ও ২৩৬টি কারপার্কিং স্পেসের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। এ ছাড়াও তিনকোটি ৭১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে। এর মধ্যে উত্তরায় ১১৬টি র্যাম্প ও ৯৮টি কারপার্কিং স্পেসের স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৮৫ লাখ টাকা জরিমানা আদায়, গুলশান-বারিধারায় ২০৮টি র্যাম্প ও ৪৯টি কারপাকিং স্পেসের স্থাপনা উচ্ছেদ এবং ৮৬ লাখ টাকা জরিমানা আদায় এবং ধানমন্ডি-লালবাগ এলাকায় নয়টি র্যাম্প ৮৯টি কারপাকিং স্পেসের স্থাপনা উচ্ছেদ ও দুই কোটি ৭০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
সভায় সিদ্ধান্ত হয়, উচ্ছেদ অভিযান জোরদার করার পাশাপাশি তালিকাভুক্ত স্থাপনার গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পত্র দেয়া হবে।