
দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে আমদানি হয়েছে উন্নত নারিকেল চারা
ঢাকা, ১৮ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
উপকূল এলাকায় প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে দেশে আমদানি করা হয়েছে উন্নত জাতের নারিকেল চারা। ভিয়েতনাম থেকে নিয়ে আসা এসব চারা চাষ করা হবে বাণিজ্যিকভাবে। বেসরকারী টেলিভিশন চ্যানেল এমন তথ্যই জানিয়েছে।
এতে দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত সহনীয় ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে চাষিরাও আর্থিকভাবেও স্বাবলম্বী হবে বলে মনে করে কৃষি বিভাগ। অন্যদিকে পরিবেশ উন্নয়নে এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কৃষিবিদরা।
প্রতিবছরই ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয় বাংলাদেশকে। এসব দুর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক মানুষ। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়ে ফুল-ফসল ও জীব-বৈচিত্র্য। এতে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি হয় আর্থিক ও পরিবেশের।
আগামীতে এমন ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে উপকূল এলাকা বেষ্টিত জেলাগুলোতে দুর্যোগসহনীয় নারিকেল চারা রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মাছের ঘের ও পুকুরের পাড় ও আশপাশে রোপণ করা হবে এসব চারা। এরই মধ্যে ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে দুই দফায় আনা হয়েছে ৩০ হাজার উন্নত জাতের চারা। খাটো জাতের এসব গাছে তিন বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে ফলন। প্রতি গাছে বছরে উৎপাদন হবে প্রায় ২০০টি ডাব বা নারিকেল।
বছরব্যাপী ফল উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মেহেদী মাসুদ বলেন, বাংলাদেশের আবহাওয়া নারকেল চাষের জন্য উপযোগী। নারকেল গাছ লবণাক্ত পানি পছন্দ করে। সেজন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নারকেল চাষের বিশাল একটা সুযোগ রয়েছে।
কৃষিবিদরা বলছেন, বিশ্বব্যাপী প্রক্রিয়াজাত পানীয়’র প্রতি অনীহা বেড়ে প্রাকৃতিক পানীয় পানে চাহিদা বাড়ছে মানুষের। এক্ষেত্রে বাংলাদেশেও নারিকেল গাছ বাণিজ্যিকভাবে চাষ করে আর্থিকভাবে অন্যান্য ফসলের মতোই উপার্জন সম্ভব।
১৮টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত এশিয়ান অ্যান্ড প্যাসেফিক কোকোনাট কমিউনিটি -এপিসিসি’র জরিপ অনুযায়ী, বাংলাদেশের সর্বত্রই নারিকেল চাষ উপযোগী। এরমধ্যে উপকূলেই প্রায় ৪০ কোটি নারিকেল চারা রোপণ সম্ভব।