স্বাস্থ্য

শ্বাসকষ্টের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে জানুন

ঢাকা, ১৯ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):

আপনি কি সব সময় নাক দিয়ে একই হারে শ্বাস নিতে পারেন? আপনি কীভাবে বুঝবেন যে ঠিকভাবে শ্বাস নিতে পারছেন কি পারছেন না? আপনার শ্বাসের সমস্যা আছে কিনা তা বোঝার জন্য কিছু লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।

১। ন্যাজাল ফ্লারিং

আপনি যখন শ্বাস নেন তখন আপনার নাকের ছিদ্রদ্বয় বড় হয়, একেই ন্যাজাল ফ্লারিং বলে। এটি সাধারণত নবজাতক ও শিশুদের ক্ষেত্রে দেখা যায় বেশি যা তাদের শ্বাসের সমস্যাকেই নির্দেশ করে। এটি হয় অন্তর্নিহিত শ্বাসতন্ত্রের সমস্যা যেমন- অ্যাজমা, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস ও ক্রুপ কাশির জন্য।

২। নিঃশ্বাসের দুর্বলতা

শ্বাসকষ্টের একটি সাধারণ লক্ষণ হচ্ছে নিঃশ্বাসের দুর্বলতা। দ্রুত নিঃশ্বাস-প্রশ্বাস নিলে তেমন কোন সমস্যার নয়, যদি তা সপ্তাহ খানেক থাকে। কিন্তু যদি শ্বাসের দুর্বলতা খুব ঘন ঘন ও মাসব্যাপী হয় তাহলে ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

৩। মুখ দিয়ে শ্বাস নেয়া

কেউ যখন মুখ দিয়ে শ্বাস নেয় তা দেখে বুঝা যায় যে তার ঠিকভাবে শ্বাস নিতে সমস্যা হচ্ছে। কোন কারণে নাক বন্ধ হয়ে গেলে এমন হয়। মুখ দিয়ে শ্বাস নিলে শুধু মুখগহ্বর শুষ্ক হয়ে যায় বা ক্লান্ত অনুভব করেন তাই নয় এর ফলে হৃদস্পন্দন ও রক্তচাপও পরিবর্তিত হয়। যদি এই লক্ষণ দীর্ঘদিন থাকে এবং ঠান্ডা বা কাশির কারণে না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

৪। দাঁতে দাঁত ঘষা

ঘুমের মধ্যে দাঁতে দাঁত ঘষেন? এটি প্রায়ই উপেক্ষা করা হয়। এটিও অপর্যাপ্ত শ্বাসের লক্ষণ যা সাধারণত ঘুমের মধ্যেই দাঁতে দাঁত ঘষা বা দাঁত কিড়মিড় করার মত লক্ষণ প্রকাশ করে।শিশুদের ক্ষেত্রে হতে দেখা যায় বেশি। তাই সঠিক কারণ জানার জন্য ডাক্তারের সাথে কথা বলুন।

৫। হাই তোলা

মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ কম হলে আমরা হাই তুলি। অনেক বেশি ক্লান্ত অনুভব করলে বা ঘুম আসলে মানুষ হাই তুলে। কিন্তু যদি খুব ঘন ঘন হাই তোলেন আপনি তাহলে এর কারণ হতে পারে শ্বসনতন্ত্রের সমস্যা অথবা স্থূলতার জন্য।

৬। ক্লান্ত বা অবসন্ন অনুভব করা

আপনার যখন শ্বাস নিতে কষ্ট হয় তখন আপনি অতিরিক্ত ক্লান্ত অনুভব করতে পারেন। এর কারণ হতে পারে রক্তের মাধ্যমে আপনার সারা শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ঠিকভাবে অক্সিজেন সরবরাহ হচ্ছেনা। এর ফলেই আপনার মাথাঘোরা বা ক্লান্ত অনুভব করার মত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। এছাড়াও পুষ্টির ঘাটতি হলে, স্ট্রেস বা ইনসমনিয়াতে আক্রান্ত হলেও ক্লান্ত অনুভব করতে পারেন।

৭। কাঁধ ও ঘাড় শক্ত হয়ে যাওয়া

প্রায় ৮০ শতাংশ মানুষ অগভীরভাবে শ্বাস নেয়। আমরা বুকের উপরের অংশে শ্বাস নেই এবং কখোনোই গভীরভাবে শ্বাস নিই না। এ কারণেই ঘাড়, কাঁধ ও পিঠের পেশী শক্ত হয়ে যায়। তাই গভীরভাবে শ্বাস নেয়া ও নিঃশ্বাস ছাড়া উচিৎ। যাতে ফুসফুস পর্যাপ্ত অক্সিজেন পায়। দিনে অন্তত একবার ভালোভাবে দম চর্চা করুন। এতে শ্বাসের সমস্যা থেকে মুক্ত থাকার পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক সমস্যা থেকেও মুক্ত থাকতে পারবেন।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button