
মালির সামরিক ঘাঁটিতে বন্দুকধারীদের হামলা, ১৭ সেনা নিহত
ঢাকা, ২০ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
মালির একটি সামরিক ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে একদল বন্দুকধারী। এতে ১৭ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ৩০ সেনা আহত হয়েছেন বলে বিবিসির সংবাদে বলা হয়েছে।
হামলার পরে নিরাপত্তা বিষয়ক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কেইটা। মঙ্গলবার সকালে চালানো এ হামলার দায় স্বীকার করেছে আলাদা দুটি গোষ্ঠী।
মালি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দেশটির মধ্যাঞ্চলীয় শহর নামপালার ওই সামরিক ঘঁটিটি দখল করে এর একটি অংশে আগুন ধরিয়ে দেয় ভারী অস্ত্রে সজ্জিত হামলাকারীরা। সামরিক ঘাঁটিতে হামলায় কতজন বন্দুকধারী ছিল তা জানা যায়নি। এতে অন্তত ১৭ সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ সেনাসদস্য।
কর্তৃপক্ষ আরও জানায়, হামলার ঘটনায় নিরাপত্তা বিষয়ক জরুরি বৈঠক ডেকেছেন মালির প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম বৌবাকার কেইটা। এতে দেশটির প্রধানমন্ত্রী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ও সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডারদের ডাকা হয়েছে।
এদিকে, এ হামলার দায় স্বীকার করেছে দুটি আলাদা গোষ্ঠী। ফুলানি নৃগোষ্ঠীর ওপর মালির সেনাবাহিনীর হামলার পাল্টা পদক্ষেপ হিসেবে এ হামলা চালানো হয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছে সম্প্রতি গঠিত একটি গোষ্ঠী। একইসঙ্গে জঙ্গিগোষ্ঠী আনসার দ্বিনিও হামলার দায় স্বীকার করেছে।
মালিতে বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী সক্রিয় রয়েছে। এদের মধ্যে সহিংস জাতিগত গোষ্ঠীর পাশাপাশি বেশ কয়েকটি উগ্রপন্থি গোষ্ঠীও রয়েছে। ২০১২ সালে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলো মালির উত্তরাঞ্চল দখল করে নিয়েছিল। এদের কারও কারও সঙ্গে আল কায়েদারও যোগাযোগ ছিল।
মালি সরকারের অনুরোধে সাড়া দিয়ে ২০১৩ সাল থেকে দেশটিতে অবস্থান নেওয়া ফরাসি সামরিক বাহিনী অভিযান চালিয়ে জঙ্গিগোষ্ঠীগুলোকে হটিয়ে দেয়। এদের পাশাপাশি দেশটিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনী মোতায়েন থাকলেও রাজধানীসহ বিভিন্ন এলাকায় প্রায়ই প্রাণঘাতী হামলা চালায় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো।
গত বছর রাজধানী বামাকোর একটি হোটেল চালানো প্রাণঘাতী হামলার দায়ও তিনটি আলাদা জঙ্গিগোষ্ঠী দায় স্বীকার করেছিল।