
অর্থ পাচার মামলায় তারেক রহমানের ৭ বছরের কারাদণ্ড
ঢাকা, ২১ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
বিদেশে অর্থ পাচার মামলায় নিম্ন আদালতের খালাসের রায় বাতিল করে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ কোটি জরিমানা করেছেন হাইকোর্ট।
বৃহস্পতিবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি আমির হোসেন সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রায় ঘোষণা করেন।
একই সঙ্গে তারেকের বন্ধু ও ব্যবসায়িক অংশীদর গিয়াসউদ্দিন আল মামুনের সাত বছরের কারাদণ্ডও বহাল রাখা হয়েছে। তবে তাকে বিচারিক আদালতের দেওয়া ৪০ কোটি টাকা অর্থদণ্ড কমিয়ে ২০ কোটি টাকা করা হয়েছে।
নিম্ন আদালতে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেকের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের আপিল এবং দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে মামুনের করা আপিলের ওপর শুনানি শেষে গত ১৬ জুন এই বেঞ্চ মামলাটি রায়ের জন্য অপেক্ষমান (সিএভি) রাখে।
মানিলন্ডারিং আইনে দায়েরকৃত অর্থপাচার মামলায় ২০১৩ সালে গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে ৭ বছরের সাজা ও ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩। একই সঙ্গে তারেক রহমানকে এই মামলার অভিযোগ থেকে খালাস দেয়া হয়।
ওই রায়ে বলা হয়, ওই টাকা খরচ করার কথা তারেক রহমান অস্বীকার করেননি। ২০০৭ সালে দুদকে দাখিল করা তারেকের হিসাব বিবরণীতে তার উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু তিনি যে মানি লন্ডারিং আইনে অপরাধ করেছেন তা প্রমাণ হয়নি। এ ছাড়া পাচার করা ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৬১৩ টাকা রাষ্ট্রের অনুকুলে বাজেয়াপ্ত করারও নির্দেশ দেওয়া হয়।
এর পর ওই বছরের ৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানকে খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল দাখিল করে দুদক। অপরদিকে দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন গিয়াস উদ্দিন আল মামুন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, টঙ্গীতে প্রস্তাবিত ৮০ মেগাওয়াট বিদুৎকেন্দ্র স্থাপনের কাজ পাইয়ে দেওয়ার জন্য নির্মাণ কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের মালিক খাদিজা ইসলামের কাছ থেকে গিয়াসউদ্দিন আল মামুন ২০ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ৮৪৩ টাকা নেন। সিঙ্গাপুরে এ টাকা লেনদেন হয়। মামুন ওই টাকা সিঙ্গাপুরের একটি ব্যাংকে তার হিসাবে জমা করেন।
এতে আরও বলা হয়, এই টাকার মধ্যে তারেক রহমান ৩ কোটি ৭৮ লাখ টাকা খরচ করেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে শুরু করে পুরো বিচার প্রক্রিয়াই অনুপস্থিত ছিলেন তারেক রহমান। গত আট বছর ধরে তিনি যুক্তরাজ্যে রয়েছেন। অন্যদিকে মামুন জরুরি অবস্থায় গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই কারাগারে।