
লিবীয় উপকূল থেকে ২১ নারী শরণার্থীর লাশ উদ্ধার
ঢাকা, ২১ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ভূমধ্যসাগরের লিবীয় উপকূল সংলগ্ন জলসীমা থেকে ২১ নারীসহ ২২ শরণার্থীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। খবর বিবিসির।
বুধবার শরণার্থী বোঝাই একটি নৌকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করে মানবাধিকার গোষ্ঠী মেডিসিন সান ফ্রন্টিয়ার্সের (এমএসএফ) তল্লাশি জাহাজ।
শরণার্থী বোঝাই রাবারের নৌকা দুটি লিবিয়া উপকূল থেকে ইতালির উদ্দেশে রওনা হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পরই এগুলো এমএসএ’র তল্লাশি দলের নজরে পড়ে।
তারা ওই নৌকা দুটি থেকে ৫০ শিশুসহ ২০৯ শরণার্থীকে উদ্ধার করে। এ সময় এক নৌকার খোল থেকে ২২টি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এগুলোর ২১টি ছিল নারীর। মৃতদেহগুলো জ্বালানি তেলের মধ্যে পড়েছিল।
এমএসএফের তল্লাশি ও উদ্ধারকারী দলের প্রধান জেনস পেগোট্টো জানান, ‘তারা কীভাবে মারা গেছে, তা স্পষ্ট নয়। তবে তারা এক নির্মম পরিস্থিতির শিকার হয়েছেন।’
এ ঘটনাকে মর্মান্তিক উল্লেখ করে তিনি বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘খোলের মধ্যে পানি ও জ্বালানি তেলের সংমিশ্রন হয়েছিল। ফলে সেখানে সৃষ্ট ধোঁয়ার কারণে শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যায় ওই ২২ জন।’
উদ্ধারকৃত শরণার্থীরা পশ্চিম আফ্রিকার দেশ নাইজেরিয়া ও গায়ানার অধিবাসী। উদ্ধার করার পর জীবিত ও মৃত শরণার্থীদের ইতালির সিসিলি দ্বীপে নিয়ে আসা হয়েছে। শুক্রবার তাদের ট্রাপানিতে নিয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে।
পোগোত্তো জানান, শরণার্থী বোঝাই নৌকা দুটি সম্ভবত বুধবার সকালে লিবিয়া ছেড়ে এসেছিল। পরে ত্রিপোলির ১৭ নটিক্যাল মাইল পূর্বের জলসীমায় তাদের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হয় ইতালির উপকূলীয় রক্ষীরা।
তারা সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি এমএসএফের টহলদার জাহাজের গোচরে আনে। খবর পাওয়ার ৩ ঘণ্টার মধ্যে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় উদ্ধারকারী জাহাজটি। তারা নৌকা দুটিতে অভিযান চালিয়ে প্রথমে জীবিত শরণার্থীদের উদ্ধার করে। পরে একটি নৌকার খোলে তল্লাশি চালিয়ে ২২ জনের লাশ পায়।
এর আগে গত মঙ্গলবার আড়াই হাজারের বেশি শরণার্থী এবং একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল বলে জানিয়েছে ইতালির উপকূলীয় রক্ষীরা। আর বুধবার উদ্ধার করা হয়েছে আরও ৬০০ জনকে।
এর আগে সোমবার ৭৯ হাজার ৮৬১ জন শরণার্থী লিবিয়া উপকূল থেকে ইতালি পৌঁছেছে। গতবছরের এই সময়ে ইতালিতে ঠাঁই নেয়া শরণার্থী সংখ্যা ছিল ৮৩ হাজার ১১৯ জন।