
দ্রুতই প্রকাশ হবে রিজার্ভ চুরির তদন্ত রিপোর্ট
ঢাকা, ২১ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):
অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত বলেছেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় সরকার গঠিত তদন্ত কমিটির পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কয়েকদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে।
তিনি বলেন, ‘রিজার্ভ চুরির বিষয়ে এর আগে আমি বক্তব্য দিয়েছি। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি করে দিয়েছিলাম, তার রিপোর্ট কয়েকদিনের মধ্যে প্রকাশ করা হবে। এ ব্যাপারে হয়তো চলতি অধিবেশনেই আমি বক্তব্য দেব।’
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) বিকেলে দশম জাতীয় সংসদের একাদশ ( বাজেট) অধিবেশনে সরকারি দলের সংসদ সদস্য গোলাম রাব্বানীর সম্পূরক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন।
এর আগে এক প্রশ্নের উত্তরে অর্থমন্ত্রী ব্যাংকিং খাতে জাল-জালিয়াতি বা অনিয়ম সনাক্তকরণ ও প্রতিরোধের প্রাথমিক দায়িত্ব সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোর উপর বর্তায় বলে মন্তব্য করেন।
চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য মোহা. গোলাম রাব্বানী অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান ব্যাংকের জাল জালিয়াতি রোধে বাংলাদেশ ব্যাংক কী পদক্ষেপ নিয়েছে? জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘ব্যাংকে জালিয়াতি রোধে এবং আর্থিক শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিদর্শন কার্যক্রমকে আধুনিকীকরণ করার পাশাপাশি আরও শক্তিশালী করা হচ্ছে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘প্রচলিত পরিদর্শন কার্যক্রমের পরিবর্তে ঝুঁকি ভিত্তিক পরিদর্শন কার্যক্রম পরিচালনার পদক্ষেপ গৃহীত হয়েছে। এতে করে ব্যাংকগুলোর যে কোনো ঝুঁকিপূর্ণ কার্যক্রমকে আগেভাগেই সনাক্তকরণ করে প্রতিকারের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করা যাবে। যার ফলে ব্যাংকগুলোতে অনিয়ম বা জালিয়াতির সুযোগ কমে আসবে।’
মুহিত বলেন, ‘আর্থিক খাতের অনিয়ম বা জালিয়াতি রোধে এবং এ খাতের সার্বিক শৃঙ্খলা বজায় রেখে আমানতকারীদের স্বার্থ অক্ষুণ্ণ রাখতে সময়ে সময়ে বিভিন্ন নীতিমালা প্রণীত হচ্ছে এবং ব্যাংকগুলো এসব নীতিমালা পরিপালন করছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘প্রযোজ্য আইন এবং নীতিমালা পরিপালনে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হলে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সে ব্যাংকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।’
মন্ত্রী বলেন, ‘এছাড়া অনিয়ম বা জালিয়াতির সাথে জড়িত ব্যাংক কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইনের আওতায় শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট ব্যাংকগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করে থাকে।’
চট্টগ্রাম-১৬ আসনের সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান অর্থমন্ত্রীর কাছে জানতে চান, চলতি অর্থ বছরে চট্টগ্রাম জেলায় কৃষি ঋণের পরিমাণ কত? উত্তরে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চলতি অর্থবছরে (২০১৫-১৬) মে, ২০১৬ পর্যন্ত ১১ মাসে চট্টগ্রাম জেলার কৃষকদের কৃষি কাজে সহায়তা প্রদান করার লক্ষ্যে তফসিরী ব্যাংক মোট ৭০৫ কোটি ২৫ লাখ টাকা কৃষি ও পল্লী ঋণ দেয়া হয়েছে।