জেলার সংবাদ

কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি: সাড়ে ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি

ঢাকা, ২৮ জুলাই, (ডেইলি টাইমস ২৪):

কুড়িগ্রামের সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৯৫ সে.মি ও ধরলার নদীর পানি সেতু পয়েন্টে বিপদ সীমার ১০০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় দুটি বাঁধ ভেঙে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

কুড়িগ্রাম-৪ আসনের সংসদ সদস্য মো: রুহুল আমিন জানান, রৌমারী উপজেলার বাঘমারা বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাধ ভেঙ্গে নতুন করে ১১টি গ্রামের ঘরবাড়ি ডুবে গেছে। একই সঙ্গে বাঁধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে উপজেলা চত্বর, সরকারি আবাসি কোয়ার্টার, ভূমি অফিস, পোস্ট অফিস, রৌমারী ডিগ্রী কলেজ, রৌমারী সিজি জামান উচ্চ বিদ্যালয়ে পানি ঢুকেছে। সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা এবং রৌমারী ঢাকা রুটে ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। রাজীবপুর উপজেলা পরিষদ চত্বর ডুবে গেছে হাঁটু পানিতে। সাহেবের আলগায় একটি বেড়িবাঁধ ভেঙেছে। ফলে স্রোতে ৬টি গ্রামের ৩০০টি পরিবার ভাঙনের শিকার হয়েছে।

ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক আকতার হোসেন আজাদ জানান, জেলা প্রশাসনের হিসেবে ৯টি উপজেলার ৫৫টি ইউনিয়নের ৭১৬টি গ্রাম এখন পানির নিচে। ১ লাখ ৪৬ হাজার পরিবারের প্রায় ৬ লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজার রহমান জানান, গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্রে ৭, দুধকুমারে ১০ সেন্টমিটার পানি বেড়েছে। তবে ধরলায় কমেছে ৬ সেন্টিমিটার।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক মো: মকবুল হোসেন জানান, আমন, বীজতলা, সবজিসহ প্রায় ৮ হাজার হেক্টর জমির বিভিন্ন ধরনের ফসল নিমজ্জিত হয়েছে, ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ১ লাখ ৭৯ হাজার কৃষক।

জেলা ত্রাণ কর্মকর্তা আব্দুল মোতালিব জানান, এ পর্যন্ত ৫৭৫ মে. টন চাল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। বিতরণ হয়েছে ৪০০ মেট্রিক টন। প্রাপ্ত ১৩ লাখ টাকার মধ্যে ৭ লাখ ৭৫ হাজার টাকা বিতরণ করা হয়েছে। শুকনো খাবার এক হাজার প্যাকেট বন্যার্তদের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button