আইন ও আদালত

স্ত্রী-ছেলে-মেয়েকে হত্যার দায়ে ফাঁসির রায়

ঢাকা, ১ আগস্ট, (ডেইলি টাইমস ২৪):

স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে হত্যার আট বছর পর পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ার এক পল্লী চিকিৎসককে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তার ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়। আজ সোমাবার পিরোজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এস এম জিল্লুর রহমান আসামির অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন। দণ্ডিত আলমগীর হোসেন মঠবাড়িয়ার পাঠাকাটা গ্রামের বাসিন্দা। মামলার নথি থেকে জানা যায়, অন্য নারীর সঙ্গে আলমগীর হোসেনের অনৈতিক সম্পর্কে বাধা দেওয়ায় স্ত্রীর সঙ্গে বিরোধ হয়। এর জেরে ২০০৮ সালের ২২ জুন রাতে আলমগীর পূর্বপরিকল্পিতভাবে তার স্ত্রী হাফিজা বেগম (৩৫), ছেলে আশরাফুল (১১) ও মেয়ে জামিলাকে (৩) ঘুমের ওষুধ খাওয়ান। পরে ঘুমন্ত অবস্থায় তাদের ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। মামলায় আরও বলা হয়, প্রকৃত ঘটনা আড়াল করার জন্য আলমগীর ওই রাতেই তার শ্যালক আবুল বাশারকে ফোন করে বলেন, তাদের গ্রামে ডাকাত পড়েছে এবং ডাকাতরা তার স্ত্রী, ছেলে ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করেছে। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী পিপি খান মো. আলাউদ্দিন বলেন, ওই রাতেই হাফিজা বেগমের ভাই আবুল বাশার মঠবাড়িয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। আলমগীরকে মঠবাড়িয়া থানার পুলিশ ২০০৮ সালের ২৪ জুন গ্রেপ্তার করেছিল। পরে ২০১৬ সালে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে তিনি পলাতক হন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মাহবুবুর রহমান ২০০৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর আলমগীরকে আসামি করে অভিযোগপত্র দায়ের করেন। আসমিরপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট আহসানুল কবির বাদল।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button