
রোগের নাম কাওয়াসাকি, বিরল হলেও মারাত্মক সমস্যা তৈরি করতে পারে রোগটি
ঢাকা, ১ আগস্ট, (ডেইলি টাইমস ২৪):
শিশুদের জ্বর হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু জ্বর যখন অত্যন্ত বেশি হয়ে যায় কিংবা একদিনের চেয়ে বেশি থাকে তখন সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ ক্ষেত্রে কাওয়াসাকি রোগটির কথা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ফক্স নিউজ। এ রোগটির একজন প্রত্যক্ষদর্শী যুক্তরাজ্যের নিউ হ্যাম্পশায়ারের কেরি রেগো। এ নারীর ৩ বছর বয়সী মেয়ে মেরিনার হঠাৎ করেই প্রচণ্ড জ্বর হয় আট বছর আগে। তবে এ রোগের লক্ষণটি সাধারণ ফ্লু জ্বরের মতো নয়। তিনি বলেন, ‘তার সাধারণ জ্বরের মতো লক্ষণ ছিল না কিংবা অসুস্থ হওয়ার অন্যান্য লক্ষণও ছিল না।’ কিন্তু যখন মেরিনার দেহে র্যাশ দেখা গেল তার শরীরের মাঝখানে তখন বিষয়টির ব্যতিক্রম লক্ষ করা গেল। এরপর সে র্যাশ সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ল। এরপর চিকিৎসক তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে বললেন। হাসপাতালে দেখা গেল, তার চোখ লাল হয়ে গিয়েছে এবং হাতগুলো ফুলে গিয়েছে। চিকিৎসকরা কয়েকটি পরীক্ষার পর রোগটি নির্ণয় করতে পারলেন- কাওয়াসাকি। সঠিক সময়ে চিকিৎসা করতে পারায় মেরিনা ২৪ ঘণ্টা পরেই বাড়ি ফিরতে পারল।
কাওয়াসাকি রোগের লক্ষণ ১. চার থেকে পাঁচ দিন ধরে জ্বর। সামান্য উন্নতি হওয়ার পর আবার অবনতি হয় সে জ্বরের, ২. দেহে ছোপ-ছোপ লাল র্যাশ, ৩. দেহের বিভিন্ন স্থান ফুলে যাওয়া, ৪. হাতের তালু লাল হওয়া, ৫. হাত ও পা ফুলে যাওয়া, ৫. চোখের রং হালকা লাল বা পিংক হয়ে যাওয়া, ৬. ঠোট খসখসে হওয়া ও ঠোঁটের রং লালাভ হওয়া, ৭. ফুলে যাওয়া ও কিছুটা স্ট্রবেরির মতো জিহ্বা হওয়া।
যেভাবে চিকিৎসা করা হয় এ রোগটি লক্ষণ নির্ণয় করা সম্ভব হলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে নিতে হবে। চিকিৎসক সাধারণত উচ্চমাত্রায় অ্যাসপিরিন ও ইন্ট্রাভেনাস ইমুইনোগ্লোবুলিন (আইভিআইজি) ব্যবহার করে এ রোগের প্রকোপ কমিয়ে আনবেন। কোনো শিশুর যদি ৩৬ ঘণ্টার বেশি রোগটি স্থায়ী হয় তাহলে আরও উচ্চমাত্রায় ওষুধ প্রয়োগের প্রয়োজন হতে পারে। এ রোগের প্রতিক্রিয়ায় পরবর্তীতে হৃদরোগও হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন চিকিৎসকরা। এ জন্য রোগটি সেরে যাওয়ার পরেও নিয়মিত বিরতিতে রোগীর হৃৎপিণ্ড পরীক্ষা করা উচিত।