
অ্যান্টিবায়োটিকের ৬ টি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া
ঢাকা, ১ আগস্ট, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ব্যাকটেরিয়া ও পরজীবীর আক্রমণে সৃষ্ট সংক্রমণ নিরাময়ে কাজ করে অ্যান্টিবায়োটিক। অ্যান্টিবায়োটিকে অনেক সময় অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়ালস অথবা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়ালসও বলা হয়। অ্যান্টিবায়োটিক জীবন রক্ষাকারী ঔষধ হলেও এরও কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলো সম্পর্কেই জানবো আজ।
১। ডায়রিয়া
এমোক্সিসিলিন এবং মেট্রোনিডাজল এর মত অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়ার ফলে মারাত্মক ধরণের ডায়রিয়া হতে পারে। এ ধরণের ডায়রিয়ার ক্ষেত্রে দুর্গন্ধযুক্ত ও পানির মত মল হয়।
২। এসিডিটি এবং গ্যাস
কিছু অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে এসিডিটি ও গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এটি হওয়ার কারণ হচ্ছে অন্ত্রের ভালো ব্যাকটেরিয়াও অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে মারা যায়। অন্ত্রের সঠিকভাবে কাজ করার জন্য ভালো ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি প্রয়োজনীয়।
৩। ত্বকের অ্যালার্জি
সালফা টেট্রাসাইক্লিন এর মত ঔষধগুলো ত্বকের অ্যালার্জি সৃষ্টি করতে পারে। এই ধরণের অ্যালার্জির ক্ষেত্রে চুলকায় এবং ত্বকে দাগ পড়ে। বিরল ক্ষেত্রে এই ধরণের অ্যালার্জি স্টিভেন্স-জনসন সিনড্রোম তৈরি করতে পারে, যা একধরণের মারাত্মক চর্মরোগ।
৪। ইস্ট ইনফেকশন
অ্যান্টিবায়োটিকের একটি সাধারণ পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হচ্ছে ভ্যাজাইনাল ইস্ট ইনফেকশন হওয়া। টেট্রাসাইক্লিন এবং ক্লিন্ডামাইসিন জাতীয় এন্টিবায়োটিক ইস্টের বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।
৫। স্টোমাটাইটিস
অ্যান্টিবায়োটিক মুখের ইনফেকশন বা স্টোমাটাইটিস সৃষ্টি করে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে। এর ফলে মুখের কোণায় ঘা হয়।
৬। কিডনির অকার্যকারিতা
এমাইনোগ্লাইকোসাইডস এর মত ঔষধ কিডনির জন্য নিরাপদ নয় এবং কিডনিকে অকার্যকর করে দিতে পারে। আপনি যদি ইতিমধ্যেই কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত হন তাহলে এধরণের ঔষধ গ্রহণ থেকে বিরত থাকুন।
এছাড়াও শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়া, র্যাশ হওয়া, জিহ্বায় সাদা দাগ হওয়া, বমি হওয়া, দুর্বল অনুভব করা ইত্যাদি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াগুলোও দেখা দিতে পারে অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের ফলে। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক অন্য ঔষধের সাথে প্রতিক্রিয়া দেখায়। তাই চিকিৎসক যদি অ্যান্টিবায়োটিক সেবনের পরামর্শ দেন তাহলে আপনি যদি অন্য কোন সমস্যার জন্য ঔষধ গ্রহণ করে থাকেন তা তাকে জানান। কিছু অ্যান্টিবায়োটিক খাবারের সাথে বা পেট ভরা অবস্থায় খেতে হয় আবার কিছু আছে খালি পেটে খেতে হয়। তাই এই বিষয়টি ডাক্তারের কাছ থেকে জেনে নিন। অ্যান্টিবায়োটিকের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়ানোর জন্য চিকিৎসকের নির্দেশিত পরিমাণে ও সময়ে অ্যান্টিবায়োটিক সেবন করা উচিৎ। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে অ্যান্টিবায়োটিকের সম্পূর্ণ কোর্স সম্পন্ন করা উচিৎ।