
আমি সেই ফ্যাশনটাই করি যা আমার লাইফ স্টাইলের সঙ্গে যায়: বিজরী বরকতউল্লাহ
ঢাকা, ১ আগস্ট, (ডেইলি টাইমস ২৪):
বিজরী বরকতউল্লাহ। নুতন করে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কিছু নেই। ছোটপর্দার জনপ্রিয় মুখ তিনি। অভিনয় ও নৃত্য- দুই ধারাতেই সমান পারদর্শী। উপস্থাপনায়ও দেখিয়েছেন তার সফলতা। আর বিজ্ঞাপনচিত্রে তো ছিলেন অনেক আগে থেকেই। স্বামী অভিনেতা ইন্তেখাব দিনার ও মেয়েকে নিয়ে তার সুখের সংসার। সম্প্রতি কথা হয় এই গুণী অভিনেত্রী ও নৃত্যশিল্পীর সঙ্গে।
কোথা থেকে শপিং করেন?
বিজরী: এটা ডিপেন্ডস কি কিনছি তার উপর। সাধারণত দেশিয় বিভিন্ন বুটিকস হাউজ থেকে শাড়ি কিনি। ওয়েস্টার্ন ড্রেস অভিয়াসলি দেশের বাইরে থেকেই কিনি। এছাড়া কলকাতা থেকেও শপিং করা হয়। ব্যাংকক, মালয়েশিয়া গেলে সেখান থেকে সারা বছরের ড্রেস এবং প্রসাধনী কিনে নিয়ে আসি। তবে শপিং মলে ঘুরাঘুরি করতে পছন্দ করি না। এখন অনলাইন থেকেও শপিং করা হয়।
শরীরের ফিটনেস ধরে রাখার জন্য কি পদক্ষেপ নিয়ে থাকেন?
বিজরী: তেমন কিছুই করা হয়ে উঠে না। খাওয়াটা মেইনটেইন করে চলি। আগে সুইমিং করতাম। সকালে লেবু চা খাই। আমি মনে করি লাইফস্টাইলটাই প্রধান।
কি ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করেন?
বিজরী: যেগুলো শরীরের জন্য বেশি হার্মফুল সেগুলোই বেশি খাওয়া হয়। আমি খেতে ও খাওয়াতে অনেক পছন্দ করি। আমি কখনোই শুকনা ছিলাম না।
কি ধরনের পোশাকে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন?
বিজরী: বাসায় তো ট্রাউজার, টি-শার্ট পরে থাকি সবসময়। বাইরে গেলে সেলোয়ার কামিজই পরা হয় বেশি। পার্টিতে পরি শাড়ি।
কোন ব্র্যান্ড পারফিউম ব্যবহার করেন সবসময়?
বিজরী: আমার অনেক ধরনের ব্র্যান্ড পারফিউমই আছে। তবে একটা পারফিউম না হলে আমার চলেই না। সেটা হলো ক্রিশচান ডিওর এর যাডোর পারফিউমটি। প্রায় বিশ বছর ধরে আমি এই একটি পারফিউম ব্যবহার করছি। যেখানেই যাই যাডোর আমার লাগবেই।
আর সানগ্লাস?
বিজরী: ব্র্যান্ড ননব্র্যান্ড মিলিয়েই সানগ্লাস পরা হয়। ছোটবেলা থেকেই আমার মাইগ্রেন এর সমস্যা। তাই আমাকে রোদে সবসময়ই সানগ্লাস পরে থাকতে হয়। ব্যাংকক গেলে সেখান থেকে সানগ্লাস কিনে নিয়ে আসি।
অলঙ্কার পরতে কি ভালো লাগে?
বিজরী: খুব বেশি অলঙ্কার আমি পরা আমি পছন্দ করি না। ছোট কানের দুল, আংটি বা চুড়ি যা আমার ডেইলি লাইফে পরি তা ডায়মন্ডের পরি। স্টোন জুয়েলারি আমার পছন্দ। ব্যক্তিগতভাবে আমি খুব সিম্পল টাইপের মেয়ে। কখনোই ওভার কিছু করিনা। কমফোর্টটা আগে দেখি।
লেদার বা স্টিল কোন ধরনের ঘড়ি আপনার পছন্দ?
বিজরী: আমি ঘড়ি একদমই পরিনা। হাত ভারি লাগে। ছোটবেলায় স্কুল কলেজে থাকতে যা পরতাম। কিন্তু আমার কাছে ব্র্যান্ডের অনেক ঘড়ি আছে, সবই গিফ্টেড।
কোন ফ্যাশন আইকনকে কি ফলো করেন?
বিজরী: না, আমার সেরকম কোন ফ্যাশন আইকন নেই। অনেকের অনেক কিছু ভালো লাগে। আমি সেই ফ্যাশনটাই করি, যা আমার লাইফস্টাইলের সঙ্গে যায়। পোশাক-আশাকের চেয়ে মানুষ আমাকে প্রাধান্য দিবে আমি এমনটাই চাই।
ঘুরতে পছন্দ করেন? কোথায় যেতে ভাল লাগে?
বিজরী: ঘুরতে অনেক পছন্দ করি। পৃথিবীর অনেক দেশেই গিয়েছি। তবে প্রতি বছরই পরিবার নিয়ে দেশের কাছাকাছি দেশ থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া যাওয়া হয়। থাইল্যান্ড এমন একটি জায়গা যে একা একাও যাওয়া যায় সেখানে। সমূদ্র আমার অনেক প্রিয়। আরাম করে সমূদ্র এনজয় করতে ভালো লাগে। এমনও গিয়েছে যে সারাদিন সমূদ্রপাড়েই কাটিয়ে দিয়েছি সবাইকে নিয়ে। কক্সবাজারও ভালো লাগে। তবে দেশের বাইরে গেলে টুরিস্টের ফিলটা পাওয়া যায়। সিকিউরিটি ভালো। রিলাক্স করা যায়। থাইল্যান্ডের অনেক আইল্যান্ড রয়েছে। সেসব আইল্যান্ডে যাই। এছাড়া আমি ইতিহাসের ছাত্রী, তাই গ্রীস ও মিশর যাওয়ার ইচ্ছা রয়েছে।
অবসর সময়ে কি করেন?
বিজরী: অবসরে আমি মুভি দেখি। আগে অনেক বই পড়তাম। এখন কনসানট্রেশন সেরকম হয়না। তাই সুন্দর অভ্যাসটা হারিয়ে ফেলেছি।
শখ কি?
বিজরী: ছোটবেলায় স্ট্যাম্প, ম্যাচবক্স, তাসের জোকার জমাতাম। এখন সেরকম কোন হবি নেই। এই বয়সে পরিবারের সবাইকে ভালো রাখার চেষ্টা করি। পরিবারের জন্য কিছু করতেই ভালো লাগে।
ভবিষ্যতে নিজেকে কোথায় দেখতে চান?
বিজরী: আমি এইম নিয়ে কখনোই ভাবিনা। আমাকে এটা করতে হবে সেই জায়গায় যেতে হবে। এমনটা চিন্তা করিনা। আমাকে সবাই মনে রাখুক সবসময়। নিজেকে সুস্থ ও সুখী দেখতে চাই। শান্তিতে থাকতে চাই।
প্রিয় মানুষ কে আপনার?
আমার বাবা-মা, স্বামী, মেয়ে, শ্বশুর-শ্বাশুরি, ননদ। অর্থাৎ পরিবারের সবাই আমার প্রিয়।
কোন ধরনের রঙের পোশাকের প্রতি কি কোন দূর্বলতা আছে কিনা?
বিজরী: ছোটবেলা থেকেই পিংক কালারটা আমার পছন্দ। এছাড়া অরেঞ্জ, মেজেন্ডা, ইয়েলো পছন্দ করি। একটু ওয়ার্ম টাইপ কালার আমার পছন্দ।