জাতীয়জেলার সংবাদ

ভূঞাপুরে বন্যাদূর্গত এলাকায় ত্রাণের জন্য হাহাকার

ঢাকা, ১ আগস্ট, (ডেইলি টাইমস ২৪):

টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে যমুনার পানি কিছুটা কমলেও বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। ভূঞাপুরের বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব পয়েন্টে আজ সোমবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৯ সেন্টিমিটার পানি কমলেও বিপৎসীমার ৩১ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। উপজেলার ৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভা বন্যাকবলিত হয়ে প্রায় সোয়া লাখ মানুষ পানিবন্দি রয়েছে। বিশেষ করে চরাঞ্চলের ২টি ইউনিয়নের ৫০ হাজার মানুষের ঘরবাড়ি সম্পূর্ণ নিমজ্জিত হওয়ায় তারা খোলা আকাশের নিচে মানবেতর  জীবনযাপন করছে।  এদিকে সরকারিভাবে খোলা হয়নি কোন আশ্রয়কেন্দ্রও। ঘরবাড়ি নিমজ্জিত হওয়া হাজার হাজার মানুষ নিজ দায়িত্বে স্কুলঘর, মাদ্রাসা ও উচুবাঁধে আশ্রয় নিয়েছে।  অপরদিকে গত ৭ দিনে বন্যাদূর্গত এলাকায় কোন এাণ সামগ্রী না পৌঁছানোয় সেখানে চলছে এাণের জন্য হাহাকার। এমনকি দুর্দশাগ্রস্ত মানুষের খোঁজ নিতে যায়নি কোন সরকারি-বেসরকারি সংস্থাও। এর ফলে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের মধ্যে তীব্র ক্ষোভ ও হতাশা বিরাজ করছে। ত্রাণের জন্য চলছে হাহাকার। এ ছাড়াও নিকরাইল ইউনিয়নের কয়েড়া বকচড়া সড়কের ভাঙা অংশ দিয়ে এখনো প্রবল বেগে বন্যার পানি প্রবেশ করায় অলোয়া ইউনিয়নে নতুন নতুন গ্রাম প্লাবিত হচ্ছে। ইতিমধ্যেই উপজেলার ৫৪টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এবং ২০টি হাইস্কুল ও মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।  সর্বশেষ সরকারি তথ্য মতে, উপজেলার প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমির আউস, রোপা আমন,পাট,  বীজতলা ও সবজিক্ষেত বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। ভেসে গেছে ২ শতাধিক পুকুরের মাছ। ১৭৫টি পোল্ট্রি খামারে পানি প্রবেশ করেছে। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আবদুল আওয়াল বলেন,‘বন্যাদূর্গত এলাকায় বিতরনের জন্য জি আর হিসেবে ৪০ মেট্রিকটন চাল ও নগদ ৩ লাখ টাকা বরাদ্ধ পেয়েছি। ২/৩ দিনের মধ্যে বিতরণ করা হবে।’

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button