
গ্রেট হানিফ মোহাম্মদের পাশে ক্রিকেট বোর্ড
ঢাকা, ০২ আগস্ট, (ডেইলি টাইমস ২৪):
পাকিস্তানের ‘লিটল মাস্টার’ তিনি। ব্যাট হাতে অনেক রেকর্ডের ভাঙা-গড়ার খেলা খেলেছিলেন। অবসরের ৪৭ বছর পরও হানিফ মোহাম্মদের বেশ কিছু রেকর্ড টিকে আছে। ৮১ বছর বয়সী সেই কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান এখন হাসপাতালে। অনেক দিন ধরে ক্যান্সারের সাথে লড়ছেন। আর তার চিকিৎসার জন্য ১০ লাখ রুপি দিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। কয়েক দিন আগে অসুস্থ হানিফকে ভর্তি করা হয় করাচির আগা খান ইউনিভার্সিটি হাসপাতালে। পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট নওয়াজ শরিফের ঘোষণা, এই গ্রেটের চিকিৎসার খরচ সব সরকার বহন করবে। পিসিবির সাবেক প্রধান ও বর্তমান কর্মকর্তা নাজাম শেঠি জানিয়েছেন, পিসিবি দেশের ইতিহাসের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়ের পাশে থাকতে চায় বলেই অনুদান দেওয়া হচ্ছে। তিন বছর আগে হানিফের ফুসফুসে ক্যান্সার ধরা পড়ে। এরপর লন্ডনে কেমোথেরাপি দেওয়া হয়। তাতে ক্যান্সার নিয়ন্ত্রণে আসলেও এখন আর কেমোতে কাজ হবে না। ফুসফুসে ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়েছে। ১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ ভারতে হানিফের জন্ম। পাকিস্তানের হয়ে ৫৫ টেস্টে ৪৩.৯৮ গড়ে ১২ সেঞ্চুরিতে ৩,৯১৫ রান করেছিলেন। নিজের সময়ে বিশ্বের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় ছিলেন। তার ৩৩৭ রানের ইনিংস এখনো পাকিস্তানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। ১৯৫৭-৫৮ তে বার্বার্ডোজে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১৬ ঘণ্টার বেশি সময়ে গড়েছিলেন ইনিংসটি। এখনো যা টেস্টের দীর্ঘতম সময়ের ইনিংস। ৪০ বছর ফার্স্ট ক্লাসের দীর্ঘতম সময়ের ইনিংস হিসেবে টিকে ছিল। ২০১৪ সালে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের খেলা ইনিংসের আগে ওটি ছিল দ্বিতীয় ইনিংসে একমাত্র টিপল সেঞ্চুরির রেকর্ড। ১৯৫৮-৫৯ সালে স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের অপরাজিত ৪৫২ রানের ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ফার্স্ট ক্লাস ইনিংসের রেকর্ড ভেঙেছিলেন হানিফ। করেছিলেন ৪৯৯ রান। এক রানের জন্য ৫০০ এর মাইলফলক স্পর্শ করতে পারেননি। ১৯৯৪ সালে ব্রায়ান লারা হানিফের সেই রেকর্ড ভেঙে খেলেন অপরাজিত ৫০১ রানের ইনিংস। হানিফের আরেকটি রেকর্ড সম্ভবত অধরাই থেকে যাবে সবসময়। ইতিহাসের ধীরতম টেস্ট ইনিংসটি তার। ২২৩ বলে ৯.৯৬৮ স্ট্রাইক রেটে ২০ রানের ইনিংস খেলেছিলেন। আইসিসির হল অব ফেমে আছেন তিনি। রাষ্ট্রের পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৬৮ সালে উইজডেনের বর্ষসেরা ক্রিকেটার হয়েছিলেন। ১৭ বছরের টেস্ট ক্যারিয়ারে অনেক কীর্তি গড়া হানিফ এখন জীবনের সায়াহ্নে।