
রিও অলিম্পিকের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যা থাকছে
ঢাকা, ০৩ আগস্ট, (ডেইলি টাইমস ২৪):
আর মাত্র দুদিন পর শুরু হতে যাচ্ছে অলিম্পিক – দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। শুধু আয়োজন এবং অংশগ্রহণের ব্যাপকতা নয়, জাঁকজমক উদযাপনের ক্ষেত্রেও অলিম্পিকের তুলনা নেই। গেমসটির প্রতিবারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান বরাবরই আগেরটিকে ছাড়িয়ে যায়। আর এই উৎসব যদি হয় উৎসবের দেশ ব্রাজিলে তবে তো কথাই নেই। ব্রাজিল ইতোমধ্যেই ঘোষণা দিয়েছে যে তাদের উদ্বোধনী আয়োজন ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিককে ছাড়িয়ে যাবে।
শুক্রবার জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পর্দা উঠবে অলিম্পিকের ৩১তম আসরের। যদিও অর্থনৈতিক মন্দায় বিপর্যস্ত দেশটিতে অলিম্পিক আয়োজন নিয়ে ব্রাজিলের উৎসবপ্রিয় জনমানুষের মনে রয়েছে প্রচন্ড ক্ষোভ। শুধু ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী সাম্বা নৃত্যই নয়, থাকছে অনেক চমক। রিওর মারাকানা স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান দেখতে হাজির থাকবেন প্রায় ৭৮ হাজার দর্শক। বিশ্বের তিন বিলিয়ন মানুষ টিভিতে সরাসরি এই অনুষ্ঠানটি দেখবেন। কি থাকছে অনুষ্ঠানে? সমস্যা হলো দর্শকদের চমক দিতে আয়োজনের বেশীরভাগই গোপন রেখেছে আয়োজকরা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, উদ্বোধনী আয়োজনে ব্রাজিলের ঐতিহ্যবাহী বৈচিত্রপূর্ণ সাংস্কৃতিক পরিবেশনাই অধিক গুরুত্ব পাবে। সহস্রাধিক অ্যাথলেট জাতীয় পতাকা হাতে প্যারেড করবেন। ব্রাজিলের এক ডজন ‘সাম্বা স্কুল’ থেকে আসা শতাধিক নৃত্যশিল্পী বিশেষ পোশাক পরে সাম্বার তালে নাচাবেন দর্শকদের। সুরের মায়াজালে দর্শকদের মোহিত করতে থাকছেন ব্রাজিলের বিখ্যাত সব সঙ্গীতশিল্পী। লাইট এন্ড সাউন্ড শো এর মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে ব্রাজিলে পর্তুগীজ উপনিবেশের ইতিহাস।
উদ্বোধনী মঞ্চ আলো করবেন ব্রাজিলের সুন্দরী এবং সুপারমডেলরা। কিংবদন্তি ব্রাজিলিয়ান মডেল বান্ডচ্যান ক্যাটওয়াকের মাধ্যমে মঞ্চ আলোকিত করবেন। ক্যাটওয়াকের বড় একটি অংশজুড়ে থাকবেন মেইনস্ট্রিম ফ্যাশন ইন্ডাস্ট্রির সমস্ত ধারণা বদলে দেওয়া ট্রান্সজেন্ডার মডেল লি-টি। অলিম্পিকের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত কোন ট্রান্সজেন্ডার মডেল মঞ্চ মাতাবেন।
শতাব্দী প্রাচীন এই ক্রীড়া আয়োজনে একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো অলিম্পিক মশাল। এই মশাল বহন করা অনেক সম্মানের এবং সম্মানীয় বিখ্যাত ব্যক্তিবর্গই সাধারণত এই মশাল বহন করেন। তবে এবার কে বহন করতে যাচ্ছেন এই মশাল? আয়োজক কমিটি সেই নামটিও পর্যন্ত গোপন রেখেছে। তবে বিষয়টি অনুমান করা হয়তো খুব কঠিন নয়। কারণ ব্রাজিল হলো ফুটবলের মহানায়ক কিংবদন্তি পেলের দেশ। জানা গেছে, মশাল জ্বালিয়ে রিও অলিম্পিকের যাত্রা শুরু করানোর অনুরোধ পেয়েছেন পেলে। কিন্তু তিনি বৃহস্পতিবার জানাবেন তার সিদ্ধান্ত।
আয়োজক কমিটির কো-আর্টিস্টিক চীফ ফার্নান্দো মেরিলেস বলেছেন, “আমরা এমন কিছু করব যা ব্রাজিল এমনকী সারাবিশ্বে কোনদিন হয়নি।” সেই অসাধারণ উপস্থাপনা দেখতেই অধীর আগ্রহে সারাবিশ্ব। বাংলাদেশ থেকে কীভাবে দেখবেন দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ?
দক্ষিণ এশিয়া থেকে অলিম্পিকের সম্প্রচার স্বত্ত্ব কিনেছে স্টার স্পোর্টস নেটওয়ার্ক। বাংলাদেশ সময় এটি শুরু হবে ৬ আগস্ট ভোর পাঁচটায়। বাংলাদেশ সহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলো থেকে এই অনুষ্ঠান দেখা যাবে স্টার স্পোর্টস ১,২,৩,৪ ও এইচডি চ্যানেলে। অলিম্পিকের বিভিন্ন ইভেন্টও এসব চ্যানেলে দেখা যাবে।