
ট্যানারি স্থানান্তরে কোনো ছাড় নেই
ঢাকা, ০৩ আগস্ট, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ট্যানারি শিল্প অবশ্যই হাজারীবাগ থেকে সাভারে স্থানান্তরিত হবে, এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি বলেন, ‘ট্যানারী মালিক ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের অবহেলার কারণে সময়মত ট্যানারি কারখানা সাভারে স্থানান্তর করা সম্ভব হচ্ছে না।’
বুধবার (৩ আগস্ট) হেমায়েতপুরের হরিণধরা এলাকায় ট্যানারি মালিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় নদীর নাব্যতা, দখল ও দূষণরোধে গঠিত টাস্কফোর্সের সভাপতি শাজাহান খান এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি বিসিক শিল্প নগরীতে ট্যানারির কমন এফ্লুয়েট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট (সিইটিপি) পরিদর্শন করেন।
এসময় সাভারে ট্যানারি শিল্প কারখানা চালু করতে সিইটিপি নির্মাণ কাজ দ্রুত সম্পন্ন করতে মন্ত্রী সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন। ট্যানারি স্থানান্তরে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়ে তিনি শিল্প কারখানার মালিকদের আন্তরিকতা নিয়ে এগিয়ে আসার আহ্বানও জানান।
শাজাহান খান আসন্ন কোরবানি ঈদের আগে হাজারীবাগ থেকে সকল ট্যানারি সাভারে স্থানান্তরের জন্য মালিকদের প্রতি আহবান জানান।
সাভারে প্রায় ২শ’ একর জমির ওপর ট্যানারি শিল্পনগরী গড়ে উঠছে। সেখানে ২০৫টি প্লট রয়েছে। এরমধ্যে শিল্প ইউনিট প্লট ১৫৫টি সিইটিপির জন্য ১৭ একর জায়গা রয়েছে। প্রকল্পটির জন্য ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৮ কোটি টাকা। এরমধ্যে ট্যানারি হস্তান্তর ব্যয় ২৫০ কোটি, সিইটিপি নির্মাণের জন্য ৬৩৮ কোটি এবং অন্যান্য ব্যয় ১৯০ কোটি টাকা।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন টাস্কফোর্সের সদস্য ভূমিমন্ত্রী শাসসুর রহমান শরীফ, খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ইসলাম, সংসদ সদস্য এনামুর রহমান, জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান মো. আতাহারুল ইসলাম, শিল্প সচিব মো. মোশাররফ হোসেন, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক রইছুল আলম মন্ডল, বাংলাদেশ ট্যানার্স এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. শাহীন আহমেদ ও বাংলাদেশ ফিনিশড লেদার, লেদারগুডস অ্যান্ড ফুটওয়্যার এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মহিউদ্দিন আহমেদ মাহিন প্রমুখ।