
খাদ্য নিরাপত্তায় বাংলাদেশ বিশ্বের মডেল
ঢাকা, ০৪ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
সময়োপযোগী খাদ্যনীতি গ্রহণ ও সঠিকভাবে তা বাস্তবায়নের ফলে খাদ্যপণ্য উৎপাদনে বাংলাদেশ এখন বিশ্বের মধ্যে মডেল বলে মন্তব্য করেছেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ।
ইতালির রোমে এফএও’র (বিশ্ব খাদ্য সংস্থা) প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘে খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও)-এর ৭১তম সেশনে ৪র্থ মিনিস্ট্রিরিয়াল কনফারেন্স এর সমাপনী অধিবেশনে সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
সমাপনী অধিবেশনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, এফএও’র ডিডিজি মারিয়া হেলেনা সেমিডো, সিএপিই এর চেয়ারপারসন মেরিনা লাউরা দা রোচা এবং এফএও’ এডিজি কোসটাস স্টামুলিস।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি দেশের জন্য ফুড সিকিউরিটি এবং নিউট্রেশন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সাথে বিশ্বকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে হচ্ছে। সঙ্গত কারণেই খাদ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মধ্যেই থাকে। মুক্ত বাণিজ্যে সময়োপযোগী ট্রেড পলিসি এবং ট্রেড এগ্রিমেন্ট ফুড সিকিউরিটি এবং নিউট্রেশন-এর জন্য জরুরি।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এফএও-কে দায়িত্বশীল ভূমিকা পালন করতে হবে।
বাংলাদেশের খাদ্য নিরাপত্তা পরিস্থিতি তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব ছিল। আজ বাংলাদেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্যের অভাব নেই। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ অভ্যন্তরীণ খাদ্য চাহিদা পূরণ করে এখন রপ্তানি করছে।
তিনি বলেন, খাদ্য নিরাপত্তার জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় নেওয়া সিদ্ধান্তসমূহ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন করতে হবে। কৃষিপণ্যের নিউট্রেশন নিশ্চিত করতে হবে। ভোক্তাদের চাহিদা এবং রুচিকে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
বাংলাদেশের খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হবার ইতিহাস তুলে ধরে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, উৎপাদিত খাদ্যপণ্যের উপযুক্ত মূল্য নিশ্চিত করা না হলে বিশ্ব খাদ্য উৎপাদন ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
তোফায়েল আহমেদ সম্মেলনের অর্জন (ডিকলারেশন) সভায় বিস্তারিতভাবে তুলে ধরেন। সম্মেলনে প্রায় বিশটি দেশের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। তারা বাংলাদেশের উন্নয়নেরও প্রশংসা করেন। বিশেষ করে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে সন্তোষ প্রকাশ করেন। তোফায়েল আহমেদ সম্মেলনের সভাপতির দায়িত্ব পালনে উপস্থিত সকলের আন্তরিক সহযোগিতার জন্য ধন্যবাদ জানান।
রোমে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত আব্দুস সোবহান শিকদার এবং ইকনোমিক কাউন্সিলর ড. মো. মফিজুর রহমান বাণিজ্যমন্ত্রীকে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করেন ।
এফএও-এর এ ধরনের একটি গুরুত্বপূর্ণ সম্মেলনে বাংলাদেশের বাণিজ্যমন্ত্রীর সভাপতিত্ব করা একটি বিরল ঘটনা। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি অনেক উজ্জ্বল হয়েছে বলে মনে করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।