
ইমরুলের ম্যাচ জিতে নিল ইংল্যান্ড
ঢাকা, ০৪ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
বিসিবি একাদশ : ৫০ ওভারে ৩০৯/৮
ইংল্যান্ড একাদশ : ৪৬.১ ওভারে ৩১৩/৬
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে দেওয়ার আয়োজন ভালো ভাবেই করেছিল বিসিবি একাদশ। কিন্তু ৯ উইকেটে ৩০৯ রান করেও শেষ পর্যন্ত পারল না তারা। ইমরুল কায়েসের ৯১ বলে ১২১ রানের ইনিংসটি জয় মাখানো হল না। ইমরুলের বিস্ফোরক ইনিংসের পর ব্যাটসম্যানরা শেষ দিকে রান করেছেন কম। বোলাররা শুরুতে রান দিয়েছেন বেশি। পরেও তাই। দরকারের সময় ভাঙতে পারেননি অধিনায়ক জস বাটলার ও মঈন আলির জুটি। ষষ্ঠ উইকেটে ওভার প্রতি ৮.২৫ গড়ে ১৩৯ রান তুলেছেন তারা। তাতে ২৩ বল হাতে রেখেই ইংলিশ মঙ্গলবার ফতুল্লায় প্রস্তুতি ম্যাচটা জিতে নিল ৪ উইকেটে।
মঈন ৪৬তম ওভারে আউট হয়েছেন ৫১ বলে ৮ চার ও ২ ছক্কার ইনিংস খেলে। বাটলার ৬৪ বলে ৩ চার ও ৪ ছক্কায় ৮০ রানে অপরাজিত থেকেছেন। তারা জুটি বেধেছিলেন ১৭০ রানে ৫ উইকেট পড়ার পর, ২৯তম ওভারে। সানজামুল ইসলাম জুটিটা ভেঙেছেন ইংল্যান্ডের যখন বিসিবি একাদশের সমান ৩০৯ রান। আল-আমিন হোসেন ৯ ওভারে ৬৪ রানে ১ উইকেট পেয়েছেন। কামরুল ইসলাম রাব্বি ১ উইকেট শিকার করেছেন। তবে ১০ ওভারে ৭৪ রান দিয়ে সবচেয়ে খরুচে তিনি।
ইমরুল কায়েস ৮১ বলে সেঞ্চুরি করেছেন এর আগে। ১২১ রানে থেমেছেন। বিধ্বংসী ইনিংসে ১১টি চার ও ৬টি ছক্কা মেরেছেন। তিনি যখন আউট হলেন দল ১৯১ রানে। ৩ উইকেটে ওই রান বিসিবি একাদশের। কিন্তু শেষ ১০ ওভারে ৬ উইকেট হারানো দলটি তিনশ পেরোলেও আরো বড় কিছুর সম্ভাবনা বাস্তাবায়িত করতে পারেনি। হঠাৎ এই ম্যাচে খেলতে চেয়ে খেলেছেন মুশফিকুর রহিম। করেছেন ৫৭ বলে ৫১ রান। অধিনায়ক নাসির হোসেনের অবদান ৪৬। তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত করেছেন ৩৬ রান।
বড় টার্গেটের চ্যালেঞ্জ ছিল ইংল্যান্ডের সামনে। ৮ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৬৫ রান তুলে ফেলে তারা। নবম ওভারে প্রথম বল হাতে পান ২২ বছরের ডান হাতি পেসার এবাদত। এই বছর পেসার হান্ট জেতা এবাদত নিজের প্রথম ওভারেই জ্যাসন রয়কে (২৮) তুলে নেন। তৃতীয় ওভারে শিকার করেন অন্য ওপেনার জেমস ভিন্সকে (৪৮)। পরে আর বল পাননি। এবাদতের বোলিং ফিগার প্রথম স্পেলের ওই ৫ ওভার, ১ মেডেন, ২৬ রানে ২ উইকেট। কোর্টনি ওয়ালশের সুপারিশে খেলতে নেমে আলি আহমেদ মানিক ৫ ওভারে ২৯ রান দিয়েছেন।
এবাদত ইংলিশ ঝড় থামানোর পর জনি বেয়ারস্টোকে (১১) বেশ এগোতে দেননি রাব্বি। এই সময়ের ইংলিশ সেনসেশন বেন ডাকেট (২৯) শুভাগত হোমের স্পিনের শিকার। বেন স্টোকসকে (২৮) তুলে নিয়েছেন জাতীয় দলে ফেরা আল-আমিন হোসেন। তাতে বেশ চাপে পড়লেও ইংলিশদের ব্যাটিং অর্ডার লম্বা বলে বিসিবি একাদশ খুব নিশ্চিন্ত ছিল না। কিন্তু মঈন ও বাটলার মিলে ঝড়ের মতোই তাদের হাত থেকে ম্যাচটা কেড়ে নিয়েছেন পরে। বাংলাদেশের জাতীয় দল নিশ্চয়ই এই ম্যাচের খবর রেখেছে। বোলিং-ব্যাটিংয়ে ইংলিশদের চ্যালেঞ্জটা যে অনেক বড় তা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছে তারা।