
যুদ্ধাপরাধী এবং বঙ্গবন্ধু খুনিদের সম্পদের মালিক হবে সরকার
ঢাকা, ০৫ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের খুনিদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার পর সরকার সেই সম্পত্তির মালিক হবে বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন কমিটির আহ্বায়ক ও নৌ-পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান। বুধবার সকালে সেগুনবাগিচাস্থ স্বাধীনতা হলে ডিআরইউ ভবন আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, যুদ্ধাপরাধের দায়ে শুধু মাত্র জামায়াত ইসলামী, বিএনপির নেতাকর্মীদের সম্পদিই বাজেয়াপ্ত করা হবে না। একইসঙ্গে আওয়ামী লীগের কোনো নেতা যদি যুদ্ধাপরাধী হয় তার সম্পদও বাজেয়াপ্ত করা হবে।
তিনি বলেন, জাতির সকল দুর্যোগে দেশের গণমাধ্যমকর্মীগণ যে নিরলস ভূমিকা পালন করেন তা অনস্বীকার্য। ভবিষ্যতেও যেকোন ধরনের জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ এবং যুদ্ধপরাধীদের বিরুদ্ধে আপনাদের সহযোগীতা কামনা করছি।
বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী ও যুদ্ধাপরাধীদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার বিষয়ে জাতীয় সংসদে সিদ্ধান্ত প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন। সংবাদ সম্মেলনে বেশ কিছু দাবিতে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে।
এক. ৭১-এ পাক বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে সংগঠিত গণহত্যা, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগসহ নির্যাতনের কারণে পাকিস্তানের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করা।
দুই. যাদেরকে পাকিস্তানিরা ‘সাচ্চা পাকিস্তানি’ বলে দাবি করছে তাদের নাগরিকত্ব বাতিল ও তাদের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা।
তিন. স্বাধীনতাবিরোধী, যুদ্ধাপরাধী, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি, গুপ্তহত্যাকারী, জঙ্গি ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে আর্থিক যোগানদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো চিহ্নিত করে তা জাতীয়করণ করা এবং আর্থিক যোগানদাতা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ শাস্তির ব্যবস্থা করা।
চার. পাকিস্তানের কূটনৈতিক শিষ্টাচার বহির্ভূত আচরণের বিষয়টি বাংলাদেশ সরকারকে বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
দাবির বিষয়ে শাহজাহান খান বলেন, আমরা এ সকল দাবি নিয়ে ‘আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ গণবিচার আন্দোলন’ আরো জোরদার গতিতে আন্দোলন চালিয়ে যাবো। যতদিন না জঙ্গি ও সন্ত্রাস রাষ্ট্র ‘পাকিস্তান’-এর চর জামায়াত-শিবির, রাজাকারদের প্রতিষ্ঠাতা বিএনপির ষড়যন্ত্রমূলক রাজনীতির হাত থেকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত না হয়, যতদিন না বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর অসাম্প্রদায়িক চেতনার স্বপ্নের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত না হয়, ততদিন পর্যন্ত পাকিস্তানের সকল চক্রান্ত প্রতিহত করে আলবদর সৃষ্ট জঙ্গি ও সন্ত্রাসীদের নির্মূল করে বাংলাদেশকে ষড়যন্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে সংগঠনের সংগ্রাম ও কর্মসূচি অব্যহত থাকবে।