আইন ও আদালত

গুলশান হামলা: তাহমিদ ও হাসনাতকে ৫৪ ধারা থেকে অব্যাহতি

ঢাকা, ০৫ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারার অভিযোগ থেকে কানাডার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাহমিদ হাসিব খান ও নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিমকে অব্যাহতি দিয়েছেন আদালত। তবে মূল মামলায় আসামি থাকবেন হাসনাত করিম।

বুধবার সকালে ঢাকা মহানগর হাকিম মোহাম্মদ নূর নবীর আদালত আসামিদের অব্যাহতি চেয়ে তাদের আইনজীবীদের করা আবেদনের শুনানি শেষে তা মঞ্জুর করেন।

দুই জনকে ৫৪ ধারা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলেও হাসনাত করিমকে হলি আর্টিজান হামলায় গুলশান থানায় দায়ের করা সন্ত্রাসবিরোধী মামলায় আটক রাখা হয়েছে।

এর আগে, গত ২ অক্টোবর হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার ঘটনায় ফৌজদারি কার্যবিধির ৫৪ ধারায় গ্রেফতার তাহমিদ হাসিব খানের জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন। ওই দিন রাতে কেরানীগঞ্জে অবস্থিত ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। তিনি কানাডার একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।

তার আগে, গত ১৩ আগস্ট হলি আর্টিজানে হামলার ঘটনায় করা মামলায় হাসনাত করিমকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে পুলিশ। শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর হাকিম ইমদাদুল হক আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

অন্যদিকে, তাহমিদকে ৫৪ ধারায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে ফের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হলে মহানগর হাকিম গোলাম নবী শুনানি শেষে ছয়দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে তারা আটদিনের রিমান্ডে ছিলেন।

গত ১ জুলাই গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গি হামলার পর কমান্ডো অভিযান শেষে উদ্ধার ১৩ জনসহ ২৭ জনকে নেওয়া হয় গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে। উদ্ধার হওয়া ১৩ জনের মধ্যে হাসনাতও ছিলেন। নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক হাসনাত করিম মেয়ের জন্মদিন উদযাপনের জন্য সেদিন সপরিবারে হলি আর্টিজানে গিয়েছিলেন বলে স্বজনেরা দাবি করেছিল। নিষিদ্ধ সংগঠন হিযবুত তাহরীর সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ২০১২ সালে হাসনাত করিমকে নর্থ-সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় চাকরি থেকে অব্যাহতি দিয়েছিল বলে গণমাধ্যমের খবর প্রকাশ হয়।

গুলশানের ওই জিম্মি সঙ্কটের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর তীব্র বিতর্ক আর রহস্যের জন্ম হয় হাসনাতকে নিয়ে। পরে তার স্ত্রী দাবি করেন, বন্দুকের মুখেই বাধ্য হয়েছেন তার স্বামী।

উল্লেখ্য, আর্টিজান বেকারিতে অস্ত্রধারীদের হামলায় নিহত ২০ জনের মধ্যে দুইজন বাংলাদেশি, একজন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকান, নয়জন ইতালি, সাতজন জাপানি ও একজন ভারতীয়।

এছাড়া গুলশানের ওই সন্ত্রাসী হামলায় ডিবির সহকারী কমিশনার (এসি) রবিউল ইসলাম এবং বনানী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সালাউদ্দিন নিহত হন। জিম্মিকারীদের উদ্ধারে যৌথবাহিনীর অভিযানে ছয় জঙ্গি নিহত হয়। জঙ্গি হামলা চালিয়ে দেশি-বিদেশি নাগরিকদের জিম্মি করার ঘটনায় দায় স্বীকার করে মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেট (আইএস)।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button