
সাবেক সেনা কর্মকর্তার মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা
ঢাকা, ০৬ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
রাজধানীর মহাখালীর ডিওএইচএস এর একটি বাসা থেকে ওয়াজি উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নামে এক অবসরপ্রাপ্ত ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় মামলা হয়েছে। নিহতের ভাতিজা রেশাদ আহমেদ চৌধুরী কাফরুল থানায় এ মামলা করেন।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যায় হাত-পা বাঁধা ও গলায় রশি পেচানো অবস্থায় নিহতের মরদেহ দেখতে পান তার ছোট ছেলে ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরী। এসময় তাকে দ্রুত সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসকেরা মৃত ঘোষণা করেন।
খবর পেয়ে কাফরুল থানা পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। পরিবারের ধারণা বুধবার সকালে এই হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। গৃহকর্মীর হাতে খুন হয়ে থাকতে পারেন বলেও সন্দেহ পরিবারের।
কাফরুল থানার ওসি শিকদার মো. শামীম হোসেন জানান, দুইমাস আগে চাচার বাসায় আবদুল্লাহ নামের একটি ছেলে কাজ নেয়। চাচা খুন হওয়ার পর থেকে ওই ছেলের সন্ধান পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে মামলার বাদী রেশাদ। তাদের সন্দেহ ওই যুবকের দিকেই।
পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, ওয়াজি আহমেদের ছোট ছেলে ফুয়াদ আহমেদ বুধবার সন্ধ্যার পর বাবাকে অচেতন অবস্থায় পড়ে দেখতে দেখে সিএমএইচে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। পরে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ ঢাকা মেডিকেলের মর্গে আনে পুলিশ। লাশের গলায় কালো দাগ ও বুকের বাম পাশে ও ডান পায়ে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ময়নাতদন্তের পর ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক সোহেল মাহমুদ শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে আলামত পাওয়ার কথা জানিয়েছেন।
ওয়াজি আহমেদ চৌধুরী ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের পদ থেকে অবসরে যান। তার দেশের বাড়ি সিলেটের গোলাপগঞ্জে। নিহতের স্ত্রী আতিয়া চৌধুরী ৬ বছর আগে মারা যান। বড় ছেলে নাবিদ আহমেদ চৌধুরী (৪৪) এক দশক ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। ছোট ছেলে ফুয়াদ আহমেদ চৌধুরী (৪০) ঢাকায় মহাখালী ডিওএইচএসের ৪ নম্বর রোডের বাসায় বাবার সঙ্গে থাকতেন।