
পার্বত্য ভূমি কমিশন চেয়ারম্যানের ক্ষমতা কমিয়ে বিল পাস
ঢাকা, ০৬ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন চেয়ারম্যানের একক ক্ষমতা কমিয়ে আইন সংশোধনের প্রস্তাব পাস করেছে জাতীয় সংসদ।
বৃহস্পতিবার সংসদে ‘পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ‚মি-বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন বিল-২০১৬’ পাসের প্রস্তাব করেন ভ‚মিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফ। পরে তা কণ্ঠভোটে পাস হয়।
গত ১ অগাস্ট বিলটি মন্ত্রিসভার অনুমোদন পায়। মঙ্গলবার বিলটি ভ‚মিমন্ত্রী সংসদে তোলার পর সেটি পরীক্ষা করে একদিনের মধ্যে সংসদে প্রতিবেদন দিতে ভ‚মি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়। পার্বত্য আঞ্চলিক পরিষদের কোরাম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে বিদ্যমান আইনে সংশোধনী আনতে বিলটি পাস করা হয়েছে।
আগে কমিশন চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্তই কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হতো। বিলটি আইনে পরিণত হলে চেয়ারম্যানসহ উপস্থিত সংখ্যাগরিষ্ঠ সদস্যের সিদ্ধান্ত কমিশনের সিদ্ধান্ত বলে গণ্য হবে। চেয়ারম্যানের একক সিদ্ধান্তে আর কোনো বিষয় চ‚ড়ান্ত হবে না।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ‚মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশনের নয় সদস্যের মধ্যে চেয়ারম্যানসহ দুইজন উপস্থিত থাকলেই এতোদিন কোরাম হতো। বিলে বলা হয়েছে, কোরামের জন্য চেয়ারম্যানসহ অন্তত তিন সদস্যের উপস্থিতি প্রয়োজন হবে।
১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকারের সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির শান্তিচুক্তির মাধ্যমে পাহাড়ে কয়েক দশকের সংঘাতের অবসান ঘটে। সেই চুক্তি অনুযায়ী, পাহাড়ের ভ‚মির অধিকার নিয়ে বিরোধ নিষ্পত্তিতে এই কমিশন গঠন করা হয়।
তবে কমিশনের চেয়ারম্যানের হাতে একক সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা থাকায় ওই কমিশন কার্যকর হচ্ছিল না বলে অভিযোগ করে আসছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান ও জনসংহতি সমিতির সভাপতি জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা।
বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্পর্কে বলতে গিয়ে ভ‚মিমন্ত্রী শামসুর রহমান পার্বত্য শান্তি চুক্তির প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ‘ওই চুক্তির আলোকে ২০০১ সালে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভ‚মি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইন প্রণয়ন করা হয়। আইন প্রণীত হওয়ার পর হতে কমিশন তার নিয়মিত বৈঠক আহ্বান করলে কমিশনের উপজাতীয় সদস্যগণ এ আইন সংশোধনের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি উলেখ করে কমিশনের বৈঠকে অব্যাহতভাবে অনুপস্থিত থাকেন। সেই অচলাবস্থা দূর করার জন্য আইনটির সংশোধনের প্রয়োজনীয় দেখা দেয়।’