অর্থ ও বাণিজ্য

‘রামপালে বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধে মোদিকে চিঠি দেওয়া হবে’

ঢাকা, ০৬ অক্টোবর , (ডেইলি টাইমস ২৪): তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষ থেকে রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্প বাতিলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর একটি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান তিনি।

সুন্দরবনের ক্ষতি হবে এমন আশঙ্কা থেকে বাগেরহাটের রামপালে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প বাতিলের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে জাতীয় কমিটি। এ দাবিতে বিভিন্ন কর্মসূচিও পালন করে আসছে সংগঠনটি। এরই অংশ হিসেবে মাস দুয়েক আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দিয়েছিল সংগঠনটি। এবার খোলা চিঠি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রীকেও। আগামী ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার কাছে এ চিঠি তুলে দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলনে আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘এবারে বাংলাদেশের নাগরিকদের পক্ষ থেকে এ প্রকল্প বাতিলের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে খোলা চিঠি দেব। এ জন্য আগামী ১৮ অক্টোবর, মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমবেত হয়ে আমরা মিছিল করে বাংলাদেশে ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের কাছে এই চিঠি হস্তান্তরের কর্মসূচি নিয়েছি।’

সম্প্রতি ইউনেস্কোর প্রতিবেদন পাওয়ার পরও কেন রামপাল প্রকল্প বাতিল করা হচ্ছে না, তা নিয়েও প্রশ্ন তোলা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

আনু মুহাম্মদ বলেন, ‘ইউনেস্কোর সর্বশেষ রিপোর্টের তাগিদ থেকে পরিষ্কার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে যে সরকার যদি আগের মতোই এসব গুরুতর বিষয় উপেক্ষা করে এবং এই প্রকল্প নিয়ে অগ্রসর হয়, তাহলে সুন্দরবন বিশ্ব ঐতিহ্য তালিকা থেকে বাদ পড়ে যাবে। কাজেই সরকারের উচিত হবে একগুঁয়েমি ত্যাগ করে বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ, বিশেষজ্ঞ মত ও ক্রমবর্ধমান জনমতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে অবিলম্বে রামপাল চুক্তি বাতিলসহ সুন্দরবনবিনাশী, বনগ্রাসী সব তৎপরতা বন্ধ করা।’

সংবাদ সম্মেলনে রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের কাজ এগিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে দেশকে বড় হুমকির দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন আনু মুহাম্মদ।

তিনি বলেন, ‘এত দিন বলা হয়েছে আমাদের যে তেজস্ক্রিয় বর্জ্য রাশিয়া পুরোটা নিয়ে যাবে। এখন দেখা যাচ্ছে যে ফিরিয়ে নেওয়ার কোনো পরিকল্পনাই রাশিয়ার নেই। এটা নিতে গেলে তাদের বাড়তি আরো পয়সা দিতে হবে। তাদের আরও চুক্তি করতে হবে। মানে আরও নতুন নতুন জালে আটকাতে হবে।’

এই অধ্যাপক বলেন, ‘তো, এই রকম একটা ভয়ংকর প্রকল্প, সেই ভয়ংকর প্রকল্পের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ এবং বিকল্প হিসেবে প্রস্তাব, সেটাও আমরা সাত দফার মধ্যে দিয়েছি।’

দেশি-বিদেশি বিভিন্ন গোষ্ঠীর মন রক্ষা করতেই পরিবেশ ও মানুষের জন্য ক্ষতিকর বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button