
রামপাল বিরোধিতা প্রধানমন্ত্রীকে আমলে নিতে হবে: বদরুদ্দোজা চৌধুরী
ঢাকা, ০৭ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
রামপালে কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ প্রসঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি বিকল্পধারার প্রেসিডেন্ট অধ্যপক ড. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘বাংলাদেশের সুন্দরবনে কেন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে? সবার বিরোধিতা প্রধানমন্ত্রীকে আমলে নিতে হবে।’
শুক্রবার সকালে রাজধানীর হোটেল ফার্স-এ রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধের প্রয়োজনীয়তা শীর্ষক সেমিনারে এ সব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, বিদ্যুৎকেন্দ্র সুন্দরবন সংলগ্ন রামপালে না হয়ে অন্য কোথাও হোক। পশ্চিমবঙ্গের যে অংশে সুন্দরবন আছে, সেখানে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে দেওয়া হয়নি। শ্রীলংকায় প্রকল্প বাস্তবায়নের মাঝপথে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাহলে বাংলাদেশের সুন্দরবনে কেন এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে? –এ বিষয়টি প্রধানমন্ত্রীকে শুনতে হবে, সবার বিরোধিতা প্রধামন্ত্রীকে আমলে নিতে হবে।
বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেন, ক্ষমতায় থাকলে নেতা-নেত্রীর আশপাশে যারা থাকেন, তাদের কাছ থেকে সুপরামর্শ পাওয়া বড় কঠিন হয়ে যায়। তাদের খুব বেশি কানকথা শুনতে হয়। ফলে সব সময় সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। বহু বছর পর বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিচার হয়েছে। আজ যারা সুন্দরবন ধ্বংস করছে, পরবর্তীতে তাদেরও বিচারের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে।
তিনি আরও বলেন, রামপাল কয়লাভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্র হলে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ বন সুন্দরবনের ক্ষতি হবে- এটা আমাদের প্রধানমন্ত্রী খুব ভালো করেই জানেন। যে দেশ যুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছে, সে দেশে এ রকম একটা জনিবিরোধী ধ্বংসাত্মক প্রকল্প সরকার বাস্তবায়ন কেন করবে? সব মতকে উপেক্ষা করে এই প্রকল্প বাস্তবায়নের নেপথ্যে কী আছে, তা আমাদের পলিটিক্যালি ভাবতে হবে।
এদিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) এক সংবাদ সম্মেলনে সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটি নিয়োজিত বিশেষজ্ঞদের মতামতের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে সুলতানা কামাল বলেন, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ক্ষেত্রে ভূমিকম্প ও প্লাবন ঝুঁকি পুরোপুরি বিবেচনায় রাখা হয়নি। ফলে প্রকল্পের চারপাশের এসব দূর্যোগ থেকে জলাশয়ে ভারী ধাতুসমূহের দূষণ ঘটতে পারে।’