
মারা গেছে জঙ্গিদের অর্থদাতা আবদুর রহমান
ঢাকা, ০৯ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
আশুলিয়ার গাজীরচট এলাকার ‘জঙ্গি আস্তানায়’ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে আটক আবদুর রহমান হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। পুলিশের দাবি নব্য জেএমবির অর্থের প্রধান যোগানদাতাছিলেন তিনি।
শনিবার রাতে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এর আগে, অভিযান চালিয়ে তাকে পরিবারের ৪ সদস্যসহ আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব)। ওই অভিযানে একটি বিদেশি পিস্তল, অস্ত্র চালানোর ক্যাটালগ, নাইট বাইনাকুলার, মোবাইল ট্রাকিং ডিভাইজ, বিস্ফোরক দ্রব্য, নগদ ৩০ লাখ টাকা, জিহাদি বই এবং দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়।
অভিযান শুরুর বিষয়টি টের পেয়ে পাঁচ তলার গ্রীল কেটে লাফিয়ে পড়েন আব্দুর রহমান। তাকে আটক করে হাসপাতালে নেয়া হয়।
র্যাবের দাবি সম্প্রতি জঙ্গি হামালার অধিকাংশ কার্যক্রমে অংশ্রগ্রহন করেন ও অর্থ জোগান দাতাহিসেবে কাজ করতেন আবদুর রহমান। তিনি ছয় মাস ধরে এই বাড়িতে ভাড়া উঠেন। এছাড়া সোহেল ও মিলন নামে দুইজনের সঙ্গে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। তাদের বিষয়ে যাচাই বাছাই করা হচ্ছে।
এদিকে আবদুর রহমানের স্ত্রীকে আটক ও তিন শিশুকে উদ্ধার করে র্যাব। এ ছাড়া আটক করা হয়েছে ওই বাড়ির কেয়ারটেকার তারেককে। আবদুর রহমানের বাড়ি সাতক্ষারী জেলায়। স্ত্রীর নাম শাহানাজ আক্তার রুমি।
শনিবার গাজীপুর ও টাঙ্গাইলে পৃথক তিনটি অভিযানে ১১ ‘জঙ্গি’ নিহত হয়েছে।
প্রসঙ্গত, এর আগে বেশ কয়েকটি ‘জঙ্গি আস্তানায়’ অভিযান চালিয়েছে। এর মধ্যে গত ২৬ জুলাই রাজধানীর কল্যাণপুরের পাঁচ নম্বর সড়কের তাজ মঞ্জিলে পুলিশের অভিযানে নয় জঙ্গি নিহত হয়। নিহতরা জেএমবির সদস্য বলে জানায় পুলিশ।
গত ২৭ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের পাইকপাড়ায় জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালায় পুলিশ। সেখানে নব্য জেএমবির অন্যতম সমন্বয়ক ও গুলশান হামলার হোতা তামিম চৌধুরীসহ দুই সহযোগীসহ নিহতহয়। অল্পের জন্য পালিয়ে যায় জাহাঙ্গীর ওরফে মুরাদ ও আকরাম সালাহউদ্দিন।
গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে রাজধানীর মিরপুরের রূপনগর আবাসিক এলাকা একটি বাড়িতে পুলিশেরঅভিযানে নিহত হয় জাহিদুল ওরফে মুরাদ ওরফে জাহাঙ্গীর। সে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশের (জেএমবি) সামরিক শাখার কমান্ডার ছিল বলে জানায় পুলিশ।
গত ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পর রাজধানীর আজিমপুরে জঙ্গিদের অবস্থান জানতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। অভিযানে এক জঙ্গি নিহত হয় এবং আহত তিন নারী জঙ্গিকে আটককরা হয়।