
বাল্যবিয়ে নিয়ে শাজাহানপুরে ইঁদুর-বিড়াল খেলা
ঢাকা, ১০ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলায় প্রশাসনের কঠোর তৎপরতা সত্ত্বেও বাল্যবিয়ে অব্যাহত রয়েছে। একদিকে বিয়ে হচ্ছে, অন্যদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান চলছে।
গত তিন মাসে ২৫ বার ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে বিয়ে রেজিস্ট্রার, বর, বর-কনের বাব-মা, আত্মীয়-স্বজন ও সহযোগীসহ মোট ৩১ জনের জেল-জরিমানা করা হয়েছে।
এরমধ্যে ১৬ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড ও ১৫ জনের কাছে ১৮ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
সবশেষ গত শনিবার বিকালে কাছাহার গ্রামের আব্দুল মান্নানের মেয়ে গোহাইল স্কুল এন্ড কলেজের দশম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে গোহাইল গ্রামের আলী আহমেদের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত সেখানে যান। ছেলের মা রমিচা বেগম, মেয়ের বাবা আবদুল মান্নান, বিয়ে পড়ানোর মাওলানা সিরাজুল হক ও তার সহযোগী আলী আজমকে গ্রেফতার করেন।
পরে আদালত ছেলের মা রমিচা বেগমের ১ হাজার টাকা জরিমানা, মেয়ের বাবা আব্দুল মান্নানের ১০ দিন, মাওলানা সিরাজুল ইসলামের ৭ দিন ও সহযোগী আলী আজমের ৫ দিন কারাদণ্ড দেন।
এর আগের দিন শুক্রবার মাদলা ইউনিয়নের শেরকোল পশ্চিমপাড়া গ্রামে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে অনুষ্ঠান থেকে তার বাবা রফিকুল ইসলামকে আটক করা হয়। পরে তাকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেয়া হয়।
এত অভিযানের পরও থেমে নেই বাল্য বিয়ে। শাজাহানপুর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অসচেতন অভিভাবকরা কাজির সহযোগিতায় তাদের অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানদের বিয়ে দিচ্ছেন। অনেক সময় বয়স জালিয়াতি করে বিয়ে রেজিস্ট্রি করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে শাজাহানপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শাফিউল ইসলাম জানান, বাল্য বিয়ের ব্যাপারে কোন ছাড় নেই। বাল্য বিয়ে নির্মূলে তাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।