জেলার সংবাদ

বাউফলে চঞ্চলের মৎস হ্যাচারি দর্শনীয় স্থান

ঢাকা, ১১ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার আদাবারিয়া ইউনিয়নের মাধবপুরে স্থানীয় বাসিন্দা চঞ্চল বিশ্বাসের মৎস্য হ্যাচারি এখন দর্শনীয় স্থানে পরিণত হয়েছে।

পরিকল্পতিভাবে তৈরি এ হ্যাচারির প্রাকৃতিক পরিবেশ মনোমুগ্ধকর। মাছ চাষের পাশাপাশি পুকুর পাড়ে সবজির চাষ করা হয়। ফলে সবুজে আচ্ছাদিত এ হ্যাচারি দেখতে দূর-দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন মানুষজন।

শুধু প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়, হ্যাচারির উদ্যোক্তা চঞ্চলকেও দেখতে আসেন অনেকে। কঠোর শ্রম আর চেষ্টায় সফল এ হ্যাচারি গড়ে তুলে ভাগ্য বদলে ফেলা চঞ্চল এখন হয়ে উঠেছেন অনেকের কাছেই অনুকরণীয়।

পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলার পায়রা-লোহালিয়া পার হয়ে দশমিনার দিক এগুতেই বাউফলে রয়েছে বেশকিছু হ্যাচারি ও মাছের ঘের।

সেখানে মাধবপুরে চঞ্চল বিশ্বাসের বাড়ির সামনে  কয়েকটি হ্যাচারি প্রকল্প। পাশাপাশি মাছের চাষ ও পুকুর পাড়ে সবজির চাষ করেন তিনি।

নিজের হ্যাচারিতে চঞ্চল চিংড়ি, কোড়াল, শিং, কৈ, পাঙ্গাস, মাগুর, পাবদা, তেলাপিয়াসহ দেশি-বিদেশি নানান প্রজাতির পোনা সরাসরি উৎপাদন ও রফতানি করা হয়।

বরিশাল বিভাগের ছয় জেলা ছাড়াও গোপালগঞ্জের মাছ চাষিদের কাছে এসব পোনা সরবারহ করেন তিনি।

চঞ্চল বিশ্বাস জানান, পরিবারের ছয় ভাই-বোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। পটুয়াখালী সরকারি কলেজ থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতক শেষে ২০০০ সালে মাত্র ৫০০ টাকা পুঁজি করে ব্যবসা শুরু করেন। পরে ছোট একটি জলাশয়ে পোনা ছেড়ে শুরু করেন ব্যবসা।

এরপর আরে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাকে। এখন তার হ্যাচারিতে ৪২ একর জমির ওপর ৩টি প্রজেক্ট রয়েছে। এখানে ১৮ জন কর্মচারী রয়েছেন।

চঞ্চল জানান, এখন তার প্রজেক্ট দেখতে ও ঘুরতে দূর-দুরান্ত থেকে মানুষজন আসেন। কিছুদিন আগেও নেদারল্যান্ড সরকারের একটি প্রতিনিধিদল এসে হ্যাচারি ঘুরে গেছেন।

তিনি আরো জানান, হ্যাচারিতে ডিম বা রেণু থেকে নিজেরাই মাছের পোনা উৎপাদন করেন। এজন্য আধুনিক প্রযুক্তির মেশিন বসানো হয়েছে। পানির জন্য গভীর নলকূপ স্থাপন করা হয়েছে। নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুতের জন্য মিটারাইজড জেনারেটর রয়েছে। পণ্য পরিবহনেও রয়েছে নিজস্ব যানবাহন।

এদিকে, আদাবারিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ওয়েবসাইটে দর্শনীয় স্থান হিসেবে তার মৎস্য হ্যাচারির নাম তালিকাভুক্ত করা হয়েছে বলে জানান এ সফল উদ্যোক্তা।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button