
লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নওগাঁর জনজীবন
ঢাকা, ১১ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ঘন ঘন লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ নওগাঁবাসী। প্রয়োজনের তুলনায় বিদ্যুৎ সরবরাহ কম হওয়ায় ঘন ঘন লোডশেডিংয়ের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়-সাত ঘণ্টা লোডশেডিং হচ্ছে। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর লোডশেডিং বেশি হয়।
নওগাঁর প্রায় সব উপজেলাতে কম-বেশি লোডশেডিং হচ্ছে। তবে জেলার মান্দা, মহাদেবপুর, বদলগাছী, পোরশা এবং সাপাহার উপজেলায় লোডশেডিং বেশি। আর ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্যবসা-বাণিজ্যও।
মান্দা উপজেলার গোপালকৃষ্ণপুর গ্রামের মাহবুবুজ্জামান সেতু জানান, আশ্বিনে এই রোদ এই বৃষ্টি। প্রচণ্ড গরম। সেই সঙ্গে ঘন ঘন লোডশেডিং। অল্প সময়ের জন্য আসে তবে দীর্ঘ সময়ের জন্য চলে যায়। কখন আসে কখন যায় বলাই দায়।
সদর উপজেলার পিরোজপুর ইন্টিতলা গ্রামের পায়েল আহমেদ বলেন, তার মেয়ে প্রীতি এবার পিএসসি পরীক্ষার্থী। লোডশেডিংয়ে মেয়ের পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে খুব দুশ্চিন্তায় রয়েছেন। প্রতিদিন কমপক্ষে ছয়-সাত ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না। বিশেষ করে সন্ধ্যার পর লোডশেডিং বেশি হয়। এতে মেয়ের পড়াশুনা নিয়ে তিনি উদ্বিগ্ন রয়েছেন।
জেলা চালকল মালিক সমিতির সভাপতি রফিকুল ইসলাম বলেন, জেলায় ১ হাজার ২০০ এর অধিক চালকল রয়েছে। লোডশেডিংয়ের কারণে জেনারেটর দিয়ে উৎপাদন করতে গিয়ে চালের দাম বেড়ে যাচ্ছে।
নওগাঁ পল্লী বিদ্যুৎ আঞ্চলিক কার্যালয়-১-এর মহাব্যবস্থাপক এনামুল হক প্রামাণিক বলেন, গ্রাহকের চাহিদা ৫৬/৫৬ মেগাওয়াট পিক আওয়ার। সেখানে পাওয়া যায় ৩০-৩৫ মেগাওয়াট। শনিবার পাওয়া যায় সর্বনিম্ন ২৩ মেগাওয়াট। পল্লী বিদ্যুৎ একটু বেশি চালালে গ্রিড থেকে বন্ধ করে দেয়া হয়। অনেক অনুরোধ করার পর তারা আবার চালু করেন।
কিন্তু বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) চাহিদার তুলনায় বেশি বিদ্যুৎ সরবরাহ করলেও তাদের কোনো সমস্যায় পড়তে হয় না। তবে সন্ধ্যার পর লোডশেডিংয়ের সমস্যাটা বেশি দেখা যায়। এক ফেজ বন্ধ রেখে অন্য এলাকার ফেজ চালু করে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয়।
নওগাঁ পিডিবির নির্বাহী প্রকৌশলী শংকর কুমার দেব বলেন, নওগাঁয় এখন কোনো লোডশেডিং নেই। গ্রিডের কারিগরি ত্রুটি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে মাঝে মধ্যে বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়। পল্লী বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষ ঘাটতির যে কথা বলছেন, সেটা সঠিক নয়। তাদের অভ্যন্তরীণ বিতরণ ও সরবরাহ ব্যবস্থার ত্রুটির কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। এ সমস্যা তাদেরই দূর করতে হবে।