ইয়াহু নিয়ে উদ্বেগ
ঢাকা, ১১ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
লাখো গ্রাহকের মেইলে ইয়াহুর নজরদারি নিয়ে এবার গুরুতর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা বিভাগের বিশেষজ্ঞ। ৩ অক্টোবর রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মার্কিন সরকারের জন্য গোপনে লাখো গ্রাহকের মেইলে নজরদারি করে আসছে ইয়াহু। নজরদারি করার জন্য প্রতিষ্ঠানটি বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করেছে বলেও জানানো হয়।
রয়টার্সের এমন প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটিকে ‘বিভ্রান্তিকর’ বলে মন্তব্য করে ইয়াহু। প্রতিবেদনকে বিভ্রান্তিকর বলা হলেও প্রতিষ্ঠানটি এমন কোনো নজরদারি করেছে কিনা, সেটি অবশ্য স্পষ্টভাবে জানায়নি।
ইয়াহুর পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতিবেদনটি বিভ্রান্তিকর। আমরা গ্রাহকের তথ্য যতটা সম্ভব ক্ষুদ্র পরিসরে উন্মুক্ত করতে সব সরকারি অনুরোধ সংকীর্ণভাবে ব্যাখ্যা করি। প্রতিবেদনে যেমন মেইল স্ক্যানের কথা বলা হয়েছে সেটি আমাদের সিস্টেমে নেই।
এরপর আরেক প্রতিবেদনে জানানো হয় সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে জড়িত এমন গ্রাহকের মেইল স্ক্যান করেছে ইয়াহু। সন্দেহজনক বার্তাগুলো এফবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্রতিবেদনে আরও বলা হয় বর্তমানে মেইল স্ক্যান করা বন্ধ রেখেছে ইয়াহু।
এজন্য বিশেষ সফটওয়্যার তৈরি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ইয়াহুর একটি স্প্যাম এবং শিশু নির্যাতনের ছবি খোঁজার ফিল্টার ব্যবহার করে মেইল স্ক্যান করা হয়েছে বলেও জানানো হয়।
ইয়াহুর এমন কার্যক্রমেরই নিন্দা করেছেন জাতিসংঘ বিশেষজ্ঞ ডেভিড কেই, জানিয়েছে ইন্ডিপেন্ডেন্ট। সাম্প্রতিক সময়ের প্রতিবেদনে ডিজিটাল যোগাযোগের ওপর যে ধরনের সরকারি নজরদারির কথা বলা হয়েছে সেটি ব্যক্তির গোপনীয়তা ক্ষুণ্ণ করে, বলেন কেই।
প্রতিবেদনে উল্লেখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আমার গুরুতর উদ্বেগ রয়েছে। কারণ অভিযুক্ত নজরদারি আবশ্যকতার মান এবং সরকারের বৈধ স্বার্থ রক্ষার্থে আনুপাতিকতা মানতে ব্যর্থ হয়েছে। এর আগে এক প্রতিবেদনে কেই বলেছিলেন, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের ওপর সরকার তর্কাতীত চাপ দেয়ার ক্ষমতা রাখে, যেটি মতপ্রকাশের স্বাধীনতার ওপর গুরুতর সীমাবদ্ধতা এনে দিতে পারে।