জাতীয়

এতিমখানার ওজু-গোসলখানা নির্মাণে দানের হাত বাড়ালেন ডিসি নাজমুল

ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

আবারো এতিমখানার শিশুদের সহযোগিতায় দানের হাত বাড়িয়ে দিলেন সেই উপ-কমিশনার (ডিসি) শেখ নাজমুল আলম। যিনি এর আগে এতিম শিশুদের জন্য শীতের কম্বল, ঈদে নতুন পোশাক উপহার দিয়েছিলেন। এবার তিনি এতিমখানার ওজু ও গোসলখানা নির্মাণে অর্থনৈতিকভাবে সহযোগিতা করেছেন।

বৃহস্পতিবার মানিকগঞ্জ জেলার সাটুরিয়া উপজেলার অন্তর্গত সাটুরিয়া ইউনিয়নের বাছট-বৈলতলা গ্রামে ‘বাছট-বৈলতলা মোকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানা’র ওজু ও গোসলখানা নির্মাণে নগদ ৫০ হাজার টাকা তুলে দেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) এ কর্মকর্তা। মাদরাসাটির প্রতিষ্ঠাতার ছেলে হাবিবুল্লাহ মিজানের হাতে ওই টাকা হস্তান্তর করেন তিনি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে শেখ নাজমুল আলম বলেন, দানের বিষয়ে কিছু বলা ঠিক নয়। পরিবার নিয়ে আমি সাদামাটা জীবন যাপনে বেশি সন্তুষ্ট। আমার বিভিন্ন খরচের খাত থেকে অল্প কিছু জমানো টাকা যদি এতিমখানা ও মাদরাসার শিশু শিক্ষার্থীদের উপকারে আসে তো ক্ষতি কি!

তিনি বলেন, ‘আসলে আমার স্ত্রী এবং দুই ছেলে সব সময় সমাজের অবহেলিত শিশুদের জন্য সাধ্যমত অবদান রাখতে উৎসাহিত করে আসছে।’

এর আগে গত ১২ জুন পরিবারের ঈদের কেনাকাটার টাকা দান করেছিলেন এই হাফেজিয়া মাদরাসার এতিমখানার শিশুদের জন্য ঈদের নতুন পোশাক কেনার জন্য।

তিনি বলেন, ‘ফেসবুকের এক পোস্ট পড়ে জানতে পারি টাকার অভাবে হাফেজিয়া মাদরাসা ও এতিমখানাটির শিশুরা নতুন পোশাক কিনতে পারছে না। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে আমার স্ত্রী ও দুই ছেলে তাদের ঈদের নতুন পোশাক কেনার টাকা মাদরাসার শিশুদের দিয়ে দেয়।’

তিনি বলেন, ‘পুলিশ কর্মকর্তারা সমাজের অন্য দশজনের মতোই। পেশাগত কারণে গণমাধ্যমে আমাদের ভিন্ন ধরনের ভাবমূর্তি গড়ে ওঠে। পিছিয়ে পড়া শিশুরা সুযোগ সুবিধা পেয়ে সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হলে নিজেরাই আলেম হয়ে জঙ্গিবাদকে রুখে দেবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।’

বাছট-বৈলতলা মুকদমপাড়া হাফেজিয়া মাদরাসা এবং এতিমখানার ছাত্র সানোয়ার হোসেন সানি বলেন, ‘নাজমুল স্যার আমাদেরকে চেনেন না। তারপরও আমাদের প্রতি উনার এই মায়া দেখে আমরা খুব খুশি।’

চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি মাদরাসাটির শিশুদের জন্য শীতের কম্বল পাঠিয়েছিলেন বলে জানান মাদরাসার মোহতামিম হাফেজ মাওলানা জয়নাল আবেদিন।

তিনি বলেন, শুষ্ক মৌসুমে নদীর পানি শুকিয়ে গেলে শিশুদের ওজু ও গোসলে অসুবিধা হয়। এবার সে কষ্ট আর থাকবে না।

উল্লেখ্য, প্রতিষ্ঠানটিতে হেফজে কোরআন, বাংলা, ইংরেজি এবং বিজ্ঞান শিক্ষা দেয়া হচ্ছে। ‘লিল্লা বোর্ডিং’ দ্বারা পরিচালিত এ প্রতিষ্ঠানটির সহযোগিতায় যে কেউ দান করতে পারবেন।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button