
‘সিনেমা নির্মাণকারীরাই পাইরেসির সঙ্গে যুক্ত’
ঢাকা, ১৩ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
যারা সিনেমা নির্মাণের সঙ্গে জড়িত তাদের অনেকেই পাইরেসির সঙ্গে যুক্ত। তাই পাইরেসি সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন (র্যাব) মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান।
তিনি জানান, পাইরেসিতে এখন নতুনমাত্রা যোগ হয়েছে। আগে পাইরেটেড সিনেমার সিডি বিক্রি হতো। আর এখন পাইরেটেড ছবি প্রদর্শনের জন্যে অবৈধভাবে টিভি চ্যানেল তৈরি করা হয়েছে।
এরই মধ্যে এ ধরনের দুইটি টিভি চ্যানেলের সংশ্লিষ্টদের গ্রেফতার করা হয়েছে। নেহা টিভি ও এইচভি নামের ওই দুই চ্যানেলের মালিক হাকিমকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে।
হাকিমের পর যে ব্যক্তি পাইরেসি জগত নিয়ন্ত্রণ করতেন তার নাম সেলিম খান।
বুধ ও বৃহস্পতিবার রাজধানী ও গাজীপুরে অভিযান চালিয়ে পাইরেসী সম্রাট সেলিম খানসহ এ চক্রের ৯ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
সেলিমের অন্য সদস্যরা হলো- শাহেদ আলী, হোসাইন মোল্লা, রুহুল আমিন ওরফে আল আমিন, শফিকুল ইসলাম, হাফিজুর রহমান ওরফে বাবু চৌধুরী, মো. আলম, মামুন হোসেন মোল্লা ও শাকিল খান।
তাদের কাছ থেকে এক হাজার ২৮১ পিস পর্ণ ছবি, ১১ হাজার ৯৫টি বাংলা ছবি, সাত হাজার ৩০০টি ব্ল্যাংক সিডি, ২২ কার্টন ও ৯৮ বস্তা পেপার, চার কার্টন পর্নোগ্রাফী পেপার ও সিডি তৈরির সরঞ্জামাদিসহ কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ উদ্ধার করা হয়।
এছাড়া সেলিমের কাছ থেকে একটি পিস্তল, পাঁচ রাউন্ড গুলি, শাহেদ আলীর কাছ থেকে ২৩৮ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট এবং হোসেন মোল্লার কাছ থেকে তিন বোতল ফেনসিডিল ও দুই বোতল ভদকা মদ উদ্ধার করা হয়।
মুফতি মাহমুদ খান বলেন, পাইরেসি ও অশ্লীলতার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে র্যাব এ পর্যন্ত দুই হাজার ৩৪২জনকে গ্রেফতার করেছে। মামলা করেছে ৭৯৩টি।
সংবাদ সম্মেলনে তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) বেনজীর আহমেদ, অতিরিক্ত মহাপরিচালক আনোয়ার লতিফ খান, এফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপনর কুমার ঘোষ, চিত্রনায়ক ফারুক, সোহেল রানা, ইলিয়াস কাঞ্চন, ওমর সানি, আমিন খান, অমিত হাসান, চিত্রনায়িকা মৌসুমী, কেয়া, রোজিনা, অঞ্জনা, অভিনেতা মিজু আহমেদ, চলচ্চিত্র পরিচালক শাহ আলম কিরণ,সোহানুর রহমান সোহান,মুশফিকুর রহমান গুলজার,কণ্ঠশিল্পী ফেরদৌস ওয়াহিদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।