
জঙ্গি দমনে ঢাকার মডেল চায় দিল্লি
ঢাকা, ১৭ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীদের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে দু’দেশ সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে যৌথভাবে লড়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছে।
রোববার রাতে ভারতের গোয়াতে ব্রিকস ও বিমস্টেক আউটরিচ অবকাশে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে অনুষ্ঠিত বৈঠকে এ অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয় খবর দিয়েছে বিবিসি বাংলা।
বৈঠকের পর বাংলাদেশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ ঠিক কি মডেল অনুসরণ করছে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী সে ব্যাপারে বিস্তারিত জানতে চেয়েছেন।
দক্ষিণ এশিয়া আঞ্চলিক সহযোগিতা জোট বা সার্কের সম্মেলন করা যে এই মুহূর্তে অর্থহীন সে বিষয়েও দু’দেশ একমত হয়েছে।
গোয়ায় চব্বিশ ঘণ্টার সংক্ষিপ্ত সফরে বিমসটেক আইটরিচে যোগ দিতে এসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটিই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেছেন। আর সেটি আয়োজক দেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে।
দু’জনের মধ্যে চলতি বছরে এটিই ছিল প্রথম দ্বিপাক্ষিক বৈঠক এবং প্রত্যাশিতভাবেই তাদের মধ্যে প্রায় সব দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
ঢাকার গুলশানে জঙ্গি হামলার পর এই প্রথম দু’জনের মুখোমুখি বৈঠক হল এবং বৈঠকের পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক বলেছেন, ‘জঙ্গিবাদ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কি ধরনের নীতি অনুসরণ করছে, প্রধানমন্ত্রী মোদি সে ব্যাপারে সাগ্রহে খোঁজখবর নিয়েছেন।’
খুব সম্প্রতি একই সময়ে ভারত ও বাংলাদেশ উভয়েই ইসলামাবাদে অনুষ্ঠেয় সার্ক শীর্ষ সম্মেলন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
তারপর থেকে ওই জোটের ভবিষ্যৎ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। সার্কের বদলে বিমসটেকেই ভারত বা বাংলাদেশ এখন বেশি গুরুত্ব দেবে বলে অনেক পর্যবেক্ষকও ধারণা করছেন।
এই প্রসঙ্গটিও দুই প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকে উঠেছিল বলে নিশ্চিত করেছেন শহীদুল হক।
অমীমাংসিত তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি নিয়ে কথা হলেও প্রসঙ্গটি ‘সেভাবে ওঠেনি’ বলেও জানিয়েছে বাংলাদেশ।
তবে আগামী ডিসেম্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে আসতে পারেন। সে ব্যাপারেও দু’দেশের মধ্যে কথাবার্তা চলছে বলে ইঙ্গিত দেয়া হয়েছে।
দুই প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়েও একমত হয়েছেন তাদের মধ্যে আরও বেশি করে দ্বিপাক্ষিক সফর আয়োজন হওয়া দরকার, প্রয়োজনে প্রটোকল ভেঙেও।