ফিচার

এখনো ব্যবহার হচ্ছে প্রাচীন ১০ সেতু

ঢাকা, ২০ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

বর্তমান সময়ে এসে আমরা রোমের কলসিয়াম, পিসার টাওয়ার কিংবা মিশরের পিরামিডকে স্রেফ ঐতিহ্য হিসেবেই চিন্তা করছি, কিন্ত এখনো কিছু প্রাচীন স্থাপত্য আছে যেগুলো কিনা এখনো মানুষ ব্যবহার করছে এবং সেগুলো বহাল তবিয়তে দাঁড়িয়ে আছে। এমন কিছু সেতু নিয়ে আমাদের আজকের আয়োজন।

পনস ফ্যাব্রিকাস
fabricio
রোমানদের বানানো স্থাপত্যগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম। এই সেতুটি ৬২ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে বানিয়েছিলেন লুসিয়াস ফ্যাব্রিকাস। ২৩ খ্রিষ্টপূর্বাব্দের বন্যার পর এটি মেরামত করা হয় এবং ২১ খ্রিষ্টপূর্বাব্দে এটি সংরক্ষণ করা হয়।

পন্টে ভ্যাকিও
Vecchio
ইতালির ফ্লোরেন্সে অবস্থিত সেতুটি ১৩৪৫ সালে নির্মিত। যা আজো তার ঐতিহ্য ধরে রেখেছে। সেতুটির মূল আকর্ষণ হচ্ছে ১৪০০ সালের দিকে কিছু দোকান এই ব্রিজে ছিল যা আজো টিকে আছে।

ফন্টে ডি রিয়ালটো
Rialto
১৫৯১ সালে নির্মিত সেতুটিও ইতালিতে। এর ডিজাইন করেছিলেন অ্যান্টোনিও দ্য ফন্টে। সেতুটির ডিজাইন নিয়ে অনেক সমালোচনা হয়েছে। ১৭৯৭ সালের দাঙ্গার পরেও ব্রিজটি অক্ষত অবস্থায় রয়েছে।

খাজু ব্রিজ
Iran
ইরানে ১৬৬৭ সালে দ্বিতীয় শাহ আব্বাস এটি নির্মাণ করার জন্য আদেশ দেন। দারুণ কারুকার্য খচিত সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছিল জাইয়ান্দাহ নদী পারাপারের জন্য। বাঁধ এবং স্লুইস গেট হলো এর প্রধান আকর্ষণ।

সাহারা সেতু
Shehara
১৭ শতাব্দীতে ইয়েমেনে সেতুটি পাওয়া যায়। সেতুটি ২০০ মিটার লম্বা এবং ৬৫০ ফুট উঁচু। এটি জাবাল-আল-আমির ও জাবাল-আল-ফাসিহ নামের দু’টি পাহাড়ের মাঝে অবস্থিত।

সেনদিয়ার সেতু
Cendere
সেতুটি সেভারান সেতু নামেও পরিচিত। ২য় শতাব্দীতে চার শহরের মধ্যে যোগাযোগ করার জন্য রোমানরা বানিয়েছিল। এটি তুরস্কে আছে।

আঞ্জি সেতু
Zhaozhou_Bridge
চীনে অবস্থিত সেতুটি চীনের সবচেয়ে পুরনো সেতু। ৬৯৫ খ্রিস্টাব্দে এটির নির্মাণ হয়েছিল। ওই সময় ডিজাইনে সেরা ছিল এটি।

পন্টে সান’অ্যাঞ্জেলো
Angelo
১৩৬ খ্রিস্টাব্দে রোমের সম্রাট হারডিয়ান এই সেতুটি নির্মাণের আদেশ দেন। এটি রোমের সবচেয়ে বিখ্যাত সেতু।

টার স্টেপস
Tarr_Step
সেতুটি ক্ল্যাপার সেতু নামেও পরিচিত। খ্রিস্টপূর্ব ৩০০০ সালে নির্মিত এই সেতুটি খুঁজে পাওয়া যায় জামুরে। পুরোটাই পাথরের বানানো। একটির উপর আরেকটি পাথর বসিয়ে বানানো হয় এটি।

দ্য আর্কাডিকো ব্রিজ
Arkadiko
এটি গ্রিসের সবচেয়ে প্রাচীন সেতু। ধারণা করা হয়, রৌপ্যযুগে এটি বানানো হয়েছিল। তাও ১৩০০-১২০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের কথা। বাকিগুলোর মতো এটিও ব্যবহৃত হচ্ছে।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button