
শেষ বিতর্কেও হিলারির জয়
ঢাকা, ২০ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন সামনে রেখে অনুষ্ঠিত টেলিভিশন বিতর্কে শেষ দফায়ও বিজয়ী হয়েছেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন। বৃহস্পতিবার বিতর্ক শেষে সিএনএন-ওআরসির জরিপে আগের দুই দফার মতো এবারেও হেরেছেন রিপাবলিকান প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় রাত ৯টায় (বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায়) নেভাদা অঙ্গরাজ্যের লাস ভেগাসের নেভেদা বিশ্ববিদ্যালয়ে এ বিতর্ক শুরু হয়।
৯০ মিনিটের এ বিতর্ক ছিল টানটান উত্তেজনার। আগামী ৮ নভেম্বরের নির্বাচনকে সামনে রেখে পরপর তিনটি বিতর্ক অনুষ্ঠানের তিনটিতেই জয়ী হলেন এই সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সিএনএন-ওআরসির জরিপের ফলাফলে জানা গেছে, বিতর্ক দেখেছেন এমন ৫২ শতাংশ মনে করেন এতে হিলারি জয়ী হয়েছেন। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পের পক্ষে এই ভোট পড়েছে ৩৯ শতাংশ।
ফক্স নিউজ সানডের উপস্থাপক ক্রিস ওয়ালেস সঞ্চালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
বিতর্কের শুরুতে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ ও গর্ভপাতের মতো বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। এবারো অস্ত্র নিয়ন্ত্রণের বিপক্ষে অবস্থান তুলে ধরেন। অন্যদিকে হিলারি অস্ত্র রাখার পক্ষে সমর্থন দিলেও এক্ষেত্রে একটি নিয়ন্ত্রণ-আইন থাকা উচিত বলে মন্তব্য করেন। গর্ভপাত বিষয়ে নারীদের স্বাধীনতা দেখতে চান হিলারি।
অন্যদিকে ট্রাম্পের যুক্তি হলো, এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা রাজ্যগুলোর হাতে থাকতে হবে। অভিবাসন বিষয়ে ট্রাম্প আগের অবস্থানেই অটল থেকে সীমান্তে কড়াকড়ি আরোপের কথা বলেন। সিরিয়া ইস্যুতে কথা বলতে গিয়ে ট্রাম্পকে রাশিয়ার হাতের পুতুল বলে মন্তব্য করলে রেগে যান বহু বিতর্কের জন্ম দেয়া এই প্রার্থী।
এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর (বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল ৭টা) যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের হেম্পস্টেড শহরের হফস্ট্রা বিশ্ববিদ্যালয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও হিলারি ক্লিনটনের মধ্যে প্রথম বিতর্ক অনুষ্ঠিত হয়।বেকারত্ব, সন্ত্রাসবাদ, পররাষ্ট্রনীতি এবং বর্ণবাদ নিয়ে বাদানুবাদ ছাড়াও ব্যক্তিগত আক্রমণের মধ্য দিয়ে শেষ হয় মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দুই প্রার্থী হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যে মুখোমুখি প্রথম বিতর্ক।
আর ৯ অক্টোবর (বাংলাদেশ সময় সোমবার সকাল ৭টা) দ্বিতীয় দফায় প্রেসিডেন্সিয়াল বিতর্কে মুখোমুখি হন হিলারি ক্লিনটন ও ডোনাল্ড ট্রাম্প। এদিন পররাষ্ট্রনীতি উপস্থাপনের চেয়ে একে অপরকে ব্যক্তিগত আক্রমণ করেই কথা বেশি বলেছেন তারা।