জাতীয়

ঢাকার বাইরে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিরবচ্ছিন্ন নয়

ঢাকা, ২০ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়লেও রাজধানীর বাইরে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনে ৮৯ শতাংশ মানুষ বিদ্যুতের ভোগান্তিতে ভুগছে। দেশের অন্য পৌরসভাগুলো গড়ে ২ থেকে ৬ ঘণ্টা লোডশেডিংয়ের হয়রানির শিকার হচ্ছে। পৌরসভার ৫৬ শতাংশ মানুষ একই সমস্যায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের পরিকল্পনা কমিশন অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত ‘আরবান পবার্টি’ শীর্ষক এক পলিসি ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। বেসরকারি গবেষণা সংস্থা পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেসন রিচার্স সেন্টার (পিপিআরসি) এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

বলা হয়, গ্রামের চেয়ে শহরের মানুষের গড় আয় বেশি। তারপরও শহরাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার বাড়ছে। এর অন্যতম কারণ মাইগ্রেশন (গ্রাম থেকে শহরে স্থানান্তর)। বিভিন্ন কারণে শহরমুখী হচ্ছে গ্রামের মানুষ। এর মধ্যে রয়েছে বাসাবাড়ি ও জমির সমস্যা, অবকাঠামো কথা রাস্তাঘাটের অসুবিধা, নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ না পাওয়া অন্যতম কারণ।

অর্থনীতিবিদ ড. ওয়াহিদ উদ্দীন মাহমুদ বলেন, বিভিন্ন কারণে মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। এর অন্য কারণ প্রাকৃতিক দুর্যোগ। অনেকে জমি হারিয়ে শহরে পারি জমাচ্ছে। এবার বাইরের শহরে গ্রামের চেয়ে আয়সহ নানা সুযোগ সুবিধার কথা চিন্তা করেও অনেকে শহরমুখী হচ্ছে।

সাবেক গভর্নর ড. সালেহ উদ্দীন আহমদ বলেন, আরবানাইজেশন বিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশে। আমাদের দেশের চর এলাকায় মানুষের সংখ্যা দ্রুত কমছে। এটা হয়তো বন্ধ করা যাবে না। কিন্তু কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করতেই হবে। না হলে সামনে আরো বিপদ রয়েছে।

ইউএনডিপির ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর নিক বেরেসফোর্ড বলেন, বাংলাদেশ নিম্ন আয়ের দেশ থেকে নিম্ন মধ্য আয়ের দেশে রূপান্তরিত হতে পেরেছে। এটা দারুণ ব্যাপার। সামাজিক সূচকগুলোতে বিশ্বের অনেক দেশের চেয়ে ভালো।

সমাপনী বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, নগরকেন্দ্রিক কর্মসংস্থান শহরের জনসংখ্যার চাপ সৃষ্টির অন্যতম কারণ। শহরের বাইরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করার মাধ্যমে নগরের জনসংখ্যার অতিরিক্ত চাপ কমানো সম্ভব। এই লক্ষ্যে সরকার নগরের বাইরে ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে। শহরের বাইরে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টির গৃহীত উদ্যোগসমূহের বাস্তবায়ন হলে সমস্যার সমাধান হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন পিপিআরসির নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. হোসেন জিল্লুর।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button