
আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যোগ দিলেন যেসব দেশীয় রাজনৈতিক নেতারা
ঢাকা, ২২ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ২০-তম জাতীয় সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা যোগ দিয়েছেন। তবে দেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কোনো নেতা এখনো পর্যন্ত যোগ দেননি।
শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বর্তমান বিকল্প ধারা বাংলাদেশের সভাপতি অধ্যাপক ডা. একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরী গেছেন। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন- বিকল্পধারার মহাসচিব মেজর (অব.) আবদুল মান্নান।
এছাড়া সম্মেলনে যোগ দিয়েছেন সাবেক বাংলাদেশ জাতীয় জোটের প্রধান ও বিএনপির সাবেক মন্ত্রী ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু, মহাজোটের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও সাধারণ সম্পাদক ফজলে হাসান বাদশা, জাসদ একাংশের সভাপতি হাসানুল হক ইনু ও সম্পাদক শিরিন আখাতার, অপর অংশের শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও মাইনুদ্দিন খান বাদল, জেএসডি সভাপতি আসম রব, জাতীয় পার্টি (জেপি) মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের ড. ওয়াজেদুল ইসলাম, বাম নেতা বিমল বিশ্বাস প্রমুখ।
এছাড়া বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান খান এবং বর্তমান সভাপতি মুজাহিদুল সেলিমও আওয়ামী লীগের সম্মেলনে উপস্থিত হয়েছেন।
তবে বিদেশি রাজনৈতিক দলের নেতারা সম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে প্রায় দুই ঘণ্টা ধরে বক্তব্যের সুযোগ পেলেও দেশীয় রাজনৈতিক দলের কোনো নেতাকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সম্মেলনে চীনের কমিউনিস্ট পার্টির আন্তর্জাতিক বিভাগের ভাইস মিনিস্টার ঝেং জিয়াওজংয়, ভারতের আসাম রাজ্যের দুইবারের নির্বাচিত মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্ল কুমার মহান্ত ছাড়াও ভারত, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, কানাডা, ইতালি, যুক্তরাজ্য, রাশিয়া, অস্ট্রেলিয়াসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
সময়ের স্বল্পতার কারণে কাউকে বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না বলে দুঃখ প্রকাশ করেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও অনুষ্ঠানের উপস্থাপক ড. হাছান মাহমুদ।
এদিকে, আওয়ামী লীগের ২০তম জাতীয় সম্মেলনে দেশের অন্যতম বড় রাজনৈতিক দল বিএনপির কোনো প্রতিনিধি এখন পর্যন্ত অংশ নেননি। সম্মেলনে কেউ যাবেন কি না, এ ব্যাপারে বিএনপির কেউ কিছু বলতে পারছেন না।
বেলা সোয়া ১১টার দিকে বিএনপির প্রেস উইংয়ের কর্মকর্তা শায়রুল কবির সংবাদমাধ্যমকে বলেন, এখন পর্যন্ত কাউকে আওয়ামী লীগের সম্মেলনে দলের প্রতিনিধি হিসেবে পাঠানো হয়েছে বা পাঠানো হবে- এমন কোনো তথ্য তাদের কাছে নেই।
গত বুধবার বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। মির্জা ফখরুল বলেছিলেন, তারা যাবেন কি না, এ ব্যাপারে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। গতকাল শুক্রবার দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেছিলেন, তারা কাউন্সিলে যাবেন।
যুগ্ম মহাসচিব আলাল আজ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমার কাছে কোনো খবর নাইরে ভাই। কোনো মেসেজ মহাসচিবের কাছ থেকে পাইনি।’
গত মার্চে বিএনপির সর্বশেষ কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। সেই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগের কোনো প্রতিনিধি পাঠানো হয়নি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগের ও বিএনপির কাউন্সিলে দুই দলই প্রতিনিধি পাঠিয়েছিল।
এর আগে আওয়ামী লীগের ২০তম কেন্দ্রীয় সম্মলনের সকাল ১০টা পাঁচ মিনিটে সম্মেলন মঞ্চে উঠেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ১০টা সাত মিনিটে জাতীয় সংগীত ও পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে সম্মেলন শুরু হয়। এরপর দলীয় সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে পায়রা উড়িয়ে এবং মাইকে সংক্ষিপ্ত ভাষণের মাধ্যমে সম্মেলনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন শেখ হাসিনা।