জেলার সংবাদ

চাচা-চাচীর নির্যাতন সইতে না পেরে আত্মহত্যার চেষ্টা

ঢাকা, ২৩ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার গাড়িয়াল এলাকায় চাচার বাড়িতে গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন ভাতিজি রেবা খাতুন (২২)। তার (রেবা) ওপর নির্মম নির্যাতন চালাতো চাচা ও চাচী। তাদের সহ্য করতে না পেরে রোববার সকালে নিজ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন রেবা।

এতে রেবার শরীরের ৭০ ভাগ অংশ পুড়ে যায়। রোববার দুপুরে সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় চাচা-চাচী বাড়িতে তালা লাগিয়ে গা ঢাকা দিয়েছে।

স্থানীয়রা জানায়, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের কর্মচারী ওয়ারেছ আলীর ভাই আব্দুল ওয়াবের মেয়ে রেবা খাতুনকে ২০০৫ সালে তার বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপর থেকে রেবাকে দিয়ে গৃহকর্মীর কাজ করানো হতো। রেবা ও তার চাচার গ্রামের বাড়ী রাজারহাট উপজেলার সুলতান বাহাদুর গ্রামে।

প্রতিবেশীরা জানায়, দীর্ঘদিন ধরে ওই মেয়েটির ওপর স্বামী-স্ত্রী মিলে নির্যাতন চালাচ্ছিল। রেবাকে বাড়ি থেকে বের হতে বা কারও সঙ্গে দিতো না ওয়ারেছ দম্পতি। রোববার সকালে ওয়ারেছ আলী অফিসে গেলে তার স্ত্রী বাড়ির গেটে তালা লাগিয়ে ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যায়।

এর কিছুক্ষণ পর রেবা খাতুনের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এসে গেটের তালা ভেঙ্গে তাকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।

কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অজয় কুমার রায় জানান, রেবা খাতুনের অবস্থা আশংকাজনক। এ হাসপাতালে বার্ন ইউনিট না থাকায় তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে পাঠানো হয়েছে।

কুড়িগ্রাম সদর থানার ওসি আব্দুস সোবহান জানান, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করা হয়েছে। এখনও কোনো লিখিত অভিযোগ পাওয়া যায়নি। গৃহকর্তা ও তার স্ত্রীর নির্যাতনের কারণেই রেবা খাতুন আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

Show More

আরো সংবাদ...

Back to top button