
১০০ কোটি টাকার পণ্য কেনার একক ক্ষমতা পাচ্ছে সরকারি প্রতিষ্ঠান
ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন ছাড়াই একশ’ কোটি টাকা পর্যন্ত পণ্য কেনার ক্ষমতা পাচ্ছে সরকারি সব প্রতিষ্ঠান।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় এককভাবে পণ্য কেনার ক্ষমতা রয়েছে ৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত।
সোমবার (২৪ অক্টোবর) মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যপরিধি বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা।
মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম এ তথ্য জানান।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, উন্নয়ন প্রকল্প ও অনুন্নয়ন বাজেটের পূর্ত কাজের জন্য আর্থিক সীমা নির্ধারণের এ প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে অর্থ বিভাগ।
অর্থ বিভাগ থেকে জানা গেছে, অনুমোদনের জন্য দীর্ঘ সময়ক্ষেপণ না করে নির্দিষ্ট সময়ে প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যপরিধি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়।
সংশোধন প্রস্তাবে বলা হয়, সকল মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদফতর, পরিদফতর ও অধ:স্তন দফতর, আধা সরকারি ও স্বায়ত্ত্বশাসিত সংস্থা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠান ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পূর্ত কাজ এবং যন্ত্রপাতি সরঞ্জমাদি ও সংশ্লিষ্ট সেবা কিনতে পারবে এককভাবে। এক্ষেত্রে মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না।
তবে একশ’ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের কোনো পণ্য কিনতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির অনুমোদন নিতে হবে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে পূর্ত কাজের জন্য রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সব প্রতিষ্ঠানও ১০০ কোটি টাকা পর্যন্ত পণ্য এককভাবে কিনতে পারবে। তবে পূর্ত কাজের যন্ত্রপাতি ক্রয়ের এ সীমা ৫০ কোটি টাকাই থাকবে।
এছাড়া উন্নয়ন প্রকল্পের পরামর্শক নিয়োগের ক্ষেত্রে ৩০ কোটি টাকা এবং অনুন্নয়ন বাজেটের ক্ষেত্রে ২০ কোটি টাকা এককভাবে খরচের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব বিবেচনার জন্য বলা হয়।
বিদ্যমান ব্যবস্থায় দু’টি ক্ষেত্রেই পরামর্শক নিয়োগে সরকারি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদন ছাড়া এককভাবে ব্যয় সীমা ছিল ১০ কোটি টাকা।
বর্তমানে পূর্ত কাজ ও ভৌত সেবা এবং পণ্য ও সংশ্লিষ্ট সেবা চুক্তি অনুমোদনের ক্ষেত্রে ৫০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের যেকোনো প্রস্তাব এবং পরামর্শক সেবার জন্য ১০ কোটি টাকার ঊর্ধ্বের যেকোনো প্রস্তাব বিবেচনার জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিতে পাঠাতে হয়।
সংশোধন প্রস্তাবে বলা হয়, ২০১২-২০১৩ অর্থবছরে কমিটি ৮ হাজার ২৬ কোটি টাকার ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। যা ২০১৫-২০১৬ অর্থবছরে বেড়ে ৬৬ হাজার ৬১ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের আর্থিক ক্ষমতা কম থাকায় ক্রয় কমিটিতে উপস্থাপনের জন্য অনেক প্রস্তাব পাঠাতে হয়। এসব প্রস্তাব যথাসময়ে ও যথাযথভাবে অনুমোদন দেওয়া কমিটির জন্য কষ্টকর হয়ে পড়ে। তাছাড়া কমিটিতে এসব প্রস্তাব পাঠানো এবং অনুমোদন প্রক্রিয়া দীর্ঘ হওয়ায় প্রকল্প বাস্তবায়ন বিলম্বিত হয়।
অর্থ বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, এসব সমস্যা সমাধানের জন্য সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির কার্যপরিধি সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।