
শিক্ষক লাঞ্ছনা: বিচারিক তদন্তে নারায়ণগঞ্জে সিএমএম
ঢাকা, ২৪ অক্টোবর, (ডেইলি টাইমস ২৪):
নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে লাঞ্ছনার ঘটনার বিচারিক তদন্তে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) শেখ হাফিজুর রহমান নারায়ণগঞ্জে গেছেন।
সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলার পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চবিদ্যালয়ে যান তিনি।
শ্যামল কান্তিকে লাঞ্ছিত করার ঘটনায় আইন ও সালিশ কেন্দ্রের (আসক) এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি আশীষ রঞ্জন দাসের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের আদেশ অনুসারে ঢাকার সিএমএম শেখ হাফিজুর রহমান ঘটনাটি তদন্ত করছেন। তদন্ত শেষে আগামী ৩ নভেম্বরের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে ঢাকার সিএমএমকে। এ ব্যাপারে ৬ নভেম্বর আদেশের জন্য দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট।
প্রসঙ্গত, এবছরের ১৩ মে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটূক্তি এবং শিক্ষার্থীকে মারধরের অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের পিয়ার সাত্তার লতিফ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে কান ধরে উঠবস করে উপস্থিত জনতার কাছে ক্ষমা চাওয়ান স্থানীয় এমপি সেলিম ওসমান। ১৬ মে শিক্ষক শ্যামল কান্তি ভক্তকে সাময়িক বরখাস্ত করে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটি।
১৮ মে এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে কেন আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করে আদালত। ১৯ মে নারায়ণগঞ্জে লাঞ্ছিত স্কুল শিক্ষক শ্যামল কান্তিকে পুনর্বহালের নির্দেশ দিয়ে স্কুল পরিচালনা কমিটিকে বাতিল ঘোষণা করেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ।
২৮ মে নারায়ণগঞ্জের ডিসির পক্ষ থেকে শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনার পূর্নাঙ্গ প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহার হোসেন সাজু। কিন্তু দায়সারা গোছের প্রতিবেদনে সন্তুষ্ট না হয়ে নারায়ণগঞ্জের ডিসি, এসপি ও ওসিকে পুনঃরায় তদন্ত প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট।
পুলিশ প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে গত ১০ আগস্ট হাইকোর্ট পুরো ঘটনা বিচারিক তদন্তের নির্দেশ দেন।